Jawad Cyclone: জাওয়াদ আতঙ্ক! প্রায় ৪০০ গর্ভবতীকে নিরাপদে হাসপাতালে সরাল এই রাজ্য
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেসব এলাকার স্থানীয়দেরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'জাওয়াদ' আতঙ্কে কাঁটা সবাই। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বিপর্যস্ত হতে পারে এমন জেলাগুলির গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে ওড়িশা সরকার। এখনও পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেসব এলাকার স্থানীয়দেরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ওড়িশা গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের।
ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকায় তিনটি জেলা থেকে ৫৪,০০৮ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে। উদ্ধারকারী দল শ্রীকাকুলাম জেলা থেকে ১৫,৭৫৫ জন, বিজয়নগর থেকে ১,৭০০ জন এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৩৬,৫৫৩ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় অন্ধ্রপ্রদেশের তিনটি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রাজ্যের উত্তর উপকূলীয় জেলাগুলিতে, শ্রীকাকুলাম, বিশাখাপত্তনম এবং বৈশ্যনগরম জেলাগুলিতে জারি লাল সতর্কতা। মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগমোহন রেড্ডি এই এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, TMC: ইউপিএর সমান্তরাল জোট গড়লে বিজেপির হাতই শক্ত হবে, তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন শিবসেনার
তবে বাংলায় কতটা তাণ্ডব চালাবে জাওয়াদ? তা ভেবেই আতঙ্কে প্রমাদ গুনছে রাজ্যবাসী। এই পরিস্থিতিতে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ খানিকটা হলেও স্বস্তিজনক। প্রথমে জানা গিয়েছিল যে, সোমবার দুপুরে ল্যান্ডফল হতে পারে জাওয়াদের। এমনকি গতিপথ পরিবর্তনের জেরে তা আছড়ে পড়তে পারে সুন্দরবনেও। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে পাওয়া শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা নেই। গভীর নিম্নচাপ হিসেবেই এ রাজ্যে প্রভাব ফেলবে জাওয়াদ।
অন্যদিকে সকাল থেকে দিঘায় শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি। সমুদ্র কিছুটা উত্তাল হলেও জল এখনও গার্ডওয়াল টপকে যায়নি। আগেভাগেই পর্যটকদের সমুদ্রে নামায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। অন্যদিকে, এই নিম্নচাপের জেরে আজ সকাল থেকেই মুখ ভার কলকাতার।