আসিয়ান সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং চিনের সঙ্গে বিনিয়োগে উদ্যোগী ভারত

বিনিয়োগ ও পরিষেবা ক্ষেত্রে আগামী মাসের মধ্যে আসিয়ানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সেরে ফেলতে উৎসাহী ভারত। আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে একথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সম্মেলনের ফাঁকেই গতকাল চিনের প্রধামন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ও ভারতে চিনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।

Updated By: Nov 20, 2012, 09:47 AM IST

বিনিয়োগ ও পরিষেবা ক্ষেত্রে আগামী মাসের মধ্যে আসিয়ানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সেরে ফেলতে উৎসাহী ভারত। আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে একথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সম্মেলনের ফাঁকেই গতকাল চিনের প্রধামন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ও ভারতে চিনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। চিনের নতুন নেতৃত্ব ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্ব দেবে বলে মনমোহনকে আশ্বাস দেন জিয়াবাও। আজ কম্বোডিয়ায় সপ্তম ইস্ট এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।  
সোমবার কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দশটি রাষ্ট্রের জোটে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত না হলেও, বরাবরই নয়াদিল্লিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয় আসিয়ানে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও তাঁর বিদেশনীতিতে পুবে তাকানোর ওপর জোর দিয়েছেন। সোমবার আসিয়ান রাষ্ট্রনেতাদের তিনি বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে তাঁদের দেশের সঙ্গে ভারত আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। বিনিয়োগ ও পরিষেবা ক্ষেত্রে এই চুক্তি দ্রুত সম্পাদনের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। ডিসেম্বরের ২০ ও ২১ তারিখ দিল্লিতে ভারত-আসিয়ান বৈঠকের আগেই চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত করে ফেলার কথা বলেন তিনি। সোমবার  থাইল্যান্ডের প্রাইম মিনিস্টার ইংলুক সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন তিনি। সন্ত্রাসবাদ, বাণিজ্য, বিপর্যয় মোকাবিলার মতো নানা বিষয়ে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে তাঁদের কথা হয়।
আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে সোমবারই চিনের বিদায়ী প্রাইম মিনিস্টার ওয়েন জিয়াবাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ও ভারতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে চিনা বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি। পরিষেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতের জন্য চিনের বাজার যাতে উন্মুক্ত হয় সে জন্য জিয়াবাওকে পদক্ষেপ করতে বলেন মনমোহন। দুটি ক্ষেত্রেই তাঁরা ইতিবাচক ভাবনাচিন্তা করছেন বলে জানান জিয়াবাও। প্রতিরক্ষা, সমুদ্র নিরাপত্তা ও সীমান্ত সমস্যা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হয়।
আগামী বছরের মার্চে চিনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরছেন ওয়েন জিয়াবাও। তাঁর জায়গায় আসবেন লি কিয়াং। হু জিনতাওয়ের জায়গায় দায়িত্ব গ্রহণ করবেন নতুন প্রেসিডেন্ট ঝি জিনপিং। চিনের পঞ্চম প্রজন্মের নেতৃত্ব ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্ব দেবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন জিয়াবাও।

.