মন কি বাতে দু' মেয়ের বাবা সুনীলের সেলফির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদী! কী তার বিশেষত্ব?
২০১৫ সালের জুন মাসে গ্রাম থেকেই প্রচার শুরু করেছিলেন তিনি। কন্যাভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে সুনীল জাগলান সবাইকে তাদের মেয়েদের সাথে ছবি তুলতে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার আহ্বান জানান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মন কি বাত-এর ১০০ তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নাম করেন। তিনি সুনীল জাগলান। 'সেলফি উইথ ডটার' প্রচারমূলক অভিযানের জন্যই সুনীলের প্রশংসা করেন মোদী। তবে এই "মেয়ের সাথে সেলফি"-র সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকেই কৃতিত্ব দিলেন সুলীন জাগলান।
সুনীল জাগলান বলেছেন, মোদী 'বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও' প্রচারাভিযান চালু করার পরে, তিনি এই উদ্যোগের দ্বারা অনুপ্রাণিত বোধ করেন। এমন কিছু করতে চান যা সরকারের প্রচেষ্টাকে পরিপূরক করতে পারে। আর তা থেকেই 'সেলফি উইথ ডটার' উদ্যোগের অবতারণা। সুনীল জাগলান বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে হরিয়ানার একটি ছোট গ্রাম থেকে কন্যাভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে যে প্রচার শুরু করেছিলেন, তা ধীরে ধীরে সাফল্যের মুখ দেখেছে।
জিন্দের বিবিপুর গ্রামের প্রাক্তন সরপঞ্চ সুনীল জাগলান। ২০১৫ সালের জুন মাসে গ্রাম থেকেই প্রচার শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর এই উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকেও প্রশংসা অর্জন করে। মোদী আগেও 'মন কি বাত' ভাষণে এই সেলফি উইথ ডটার-এর উল্লেখ করেছিলেন। কন্যাভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে সুনীল জাগলান সবাইকে তাদের মেয়েদের সাথে ছবি তুলতে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার আহ্বান জানান।
পরে তিনি এই জন্য একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করেছেন। যেখানে সবাই তাদের মেয়েদের সঙ্গে সেলফি শেয়ার করতে পারেন। সুনীল জাগলার বলেন, জিন্দে তাঁর জন্মস্থল। কিন্তু হরিয়ানার এই জেলায় লিঙ্গ অনুপাত ভয়ঙ্করভাবে কম ছিল। কিন্তু এখন বিষয়টি উলটে গিয়েছে। প্রসঙ্গত,সুনীল জাগলান নিজেও দুই মেয়ের বাবা।
আরও পড়ুন, '১০০ এপিসোডের এই জার্নি আমার কাছে খুবই স্পেশাল', মহিলাদের ক্ষমতায়নকে কুর্নিশ মন কি বাতে!