আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি, কৃপাশঙ্করের বাড়িতে পুলিসি তল্লাসি
মুম্বই পুরভোটে বিপর্যয়ের পর এবার দলের `বিতর্কিত` নেতাদের আইনগত বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় হল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন মামলার জেরে শুক্রবার সদ্য-পদত্যাগী মুম্বই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কৃপাশঙ্কর সিংয়ের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাসি অভিযান চালাল পুলিস।
মুম্বই পুরভোটে বিপর্যয়ের পর এবার দলের `বিতর্কিত` নেতাদের আইনগত বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় হল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন মামলার জেরে শুক্রবার সদ্য-পদত্যাগী মুম্বই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কৃপাশঙ্কর সিংয়ের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাসি অভিযান চালাল পুলিস। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর প্রভাবশালী অ-মারাঠি নেতার বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারের এই পদক্ষেপকে যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি মুম্বই পুলিসের রিপোর্টের ভিত্তিতে কৃপাশঙ্কর সিংয়ের বিরুদ্ধে ৩২০ কোটি টাকার আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে এনফোর্সমেন্ট দফতর (ইডি)-কে তদন্তের নির্দেশ দেয় বম্বে হাইকোর্ট। কৃপাশঙ্করের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী মালতিদেবী ছেলে নরেন্দ্রমোহন সিং এবং ও পুত্রবধূ অঙ্কিতা-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করে পুলিস ও ইডি। আর এই ঘটনার জেরে ফের আলোচনায় চলে এসেছে ঝাড়খণ্ডে পূর্বতন মধু কোড়া সরকারের নানা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ। মধু কোড়া ক্যাবিনেটের মন্ত্রী কমলেশ সিংয়ের মেয়ে অঙ্কিতা কৃপাশঙ্কর-পুত্র নরেন্দ্রমোহনের স্ত্রী। বর্তমানে মধু কোড়ার সঙ্গেই জেলে রয়েছেন কমলেশ সিং। কোড়া এবং তাঁর দুর্নীতির দোসরদের অবৈধ আর্থিক সাম্রাজ্যের একাংশ কৃপাশঙ্করের পরিবারে স্থানান্তরিত হয়েছে কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। একটি জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ তোলা হয়েছে, কমলেশ সিংয়ের তরফে অঙ্কিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা জমা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বম্বে হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন কৃপাশঙ্কর।
কৃপাশঙ্করের ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আয়কর রিটার্নের নথি থেকে জনা যাচ্ছে, ১৯৯৮ সালে বিধায়ক হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁর কোনও সম্পত্তি ছিল না। ২০০৪-০৫ আর্থিক বছরে কৃষিজমি ও অন্যান্য উত্স থেকে পরিবারের মোট আয় ছিল মাত্র ৬৯ হাজার টাকা। ২০০৫-০৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা। ২০০৮ সালেই এই অঙ্ক পোঁছে যায় ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকায়। অন্যদিকে কৃপাশঙ্কর-পুত্র নরেন্দ্র সিংয়ের আয়ের কোনও সুনির্দিষ্ট উত্স না থাকলেও ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে নরেন্দ্র সিংয়ের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৬০ কোটি টাকা। কৃপাশঙ্কর সিং এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ২২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এ রকম নানা অসঙ্গতি মিলেছে বলেই দাবি মুম্বই পুলিস ও ইডি`র তদন্তকারী অফিসারদের।