রাজীব হত্যাকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক বেঞ্চের ওপর ছেড়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীরা আপাতত জেলেই থাকবে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট তাদের মুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিল সাংবিধানিক বেঞ্চের ওপর। তামিলনাড়ু হত্যাকারীদের মুক্তি দেবে কি না সেই বিষয়ে এবার সিদ্ধান্ত নেবে সাংবিধানিক বেঞ্চ। তবে ৭ হত্যাকারীকে এখনই জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীরা আপাতত জেলেই থাকবে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট তাদের মুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিল সাংবিধানিক বেঞ্চের ওপর। তামিলনাড়ু হত্যাকারীদের মুক্তি দেবে কি না সেই বিষয়ে এবার সিদ্ধান্ত নেবে সাংবিধানিক বেঞ্চ। তবে ৭ হত্যাকারীকে এখনই জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবম সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা যাবজ্জীবনে কমিয়ে আনার পর সরকার তাদের মুক্তির ব্যাপারেও অনুমতি দিতে পারে কি না। তামিলনাড়ুর আবেদন ছিল ফাঁসি দিতে অত্যধিক দেরির কারণে ৩ হত্যাকারী ভি শ্রীহরণ ওরফে মুরুগান, এজি পেরারিভলম ওরফে আরিভু ও টি সুথেন্দ্ররাজা ওরফে সনথনকে মুক্তি দেওয়া হোক। তামিল নাড়ুর এই আবেদন অসমর্থনযোগ্য বলে সুপ্রিম কোর্টের কাছে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল কেন্দ্র। তারই শুনানি আজ। এই ৩ জন ছাড়াও রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে জরিত বাকি ৪ জন হলেন নলিনী, রবার্ট পিয়াস,জয়কুমার ও রবিচন্দ্রন।
১৯৯১ সালের ২১ মে চেন্নাইয়ের শ্রীপারামবন্দরে নির্বাচনি প্রচারের মিছিলে এলটিটিই-র আত্মঘাতী জঙ্গি ধানু দ্বারা নিহত হন রাজীব গান্ধী। ১৯৯৮ সালের মোট ২৬ জন অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বিশেষ ট্রায়াল কোর্ট। ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট মুরুগান, সনথন, পেরারিভলন ও নলিনীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখলেও বাকিদের মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে দেয়।