‘বুয়া-ভাতিজার’ সিদ্ধান্তে সায় তেজস্বীর, বিজেপিকে রুখতে স্মরণ লালুর ‘বিহার স্টাইল জোট’-এর

রবিবার বসপা সুপ্রিমো মায়াবতীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন তেজস্বী। এরপর যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তেজস্বী বলেন, “এখন যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তারা যেন বাবা সাহেবের সংবিধানকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিতে চাইছে। 

Updated By: Jan 14, 2019, 01:07 PM IST
‘বুয়া-ভাতিজার’ সিদ্ধান্তে সায় তেজস্বীর, বিজেপিকে রুখতে স্মরণ লালুর ‘বিহার স্টাইল জোট’-এর
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর প্রদেশে ‘বুয়া-ভাতিজা’র জোটকে স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদব। এই জোট বিজেপিকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করে ছাড়বে বলে দাবি করেন তিনি। এরপরই লালুপ্রসাদ পুত্র যা বললেন, তাতে ফের নীতীশের সঙ্গে জোট জল্পনা উস্কে দিল বিহারেও। তেজস্বীর কথায়, তাঁর বাবা আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ চাইতেন বিজেপিকে হারাতে বিহারের স্টাইলে জোট করা দরকার সব আঞ্চলিক দলগুলির। তবে, তেজস্বীর দাবি, বিহারেও হোয়াইটওয়াশ হবে বিজেপি।

আরও পড়ুন- ছেলের বিয়েতে রাহুল-আডবানিকে নিমন্ত্রণ রাজ ঠাকরের, বাদ পড়লেন মোদী

রবিবার বসপা সুপ্রিমো মায়াবতীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন তেজস্বী। এরপর যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তেজস্বী বলেন, “এখন যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তারা যেন বাবা সাহেবের সংবিধানকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিতে চাইছে। এর বদলে নাগপুর ‘ল (আরএসএস-কে কটাক্ষ করে) প্রয়োগ করছে তারা। মায়াবতী ও অখিলেশের জোটকে মানুষ স্বাগত জানাচ্ছে।” তেজস্বী দাবি করেন, উত্তর প্রদেশের সব ক’টি আসনই জোটের দখলে যাবে।

এই মুহূর্তে বিহারে অন্যতম দুই আঞ্চলিক দল আরজেডি ও জেডিইউ ভাগ হয়ে রয়েছে আড়াআড়িভাবে। গত বিধানসভায় লালু প্রসাদের দলের সঙ্গে জোট করে জেডিএস ক্ষমতায় এলেও পরে সে জোট ভেঙে যায়। জেডিএস সুপ্রিমো নীতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেন। তবে, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের নানা ইস্যুর বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে নীতীশকে। নোটবন্দি- জিএসটির সমালোচনা করেছেন তিনি। লালুর উক্তি স্মরণ করিয়ে এ দিন তেজস্বীর দাবি, আঞ্চলিক শক্তি জোট বাঁধলে সহজেই বিজেপিকে হারানো যাবে। ভোটের মুখে তাঁর এই বার্তায় জেডিইউ-র জন্য দরজা খোলা রাখলেন তেজস্বী? এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। তবে, পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের পর এনডিএ-তে চিড় ধরতেই তড়িঘড়ি বিহারে জোটের ফয়সলা করে ফেলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বিহারে বিজেপি ও জেডি(ইউ) ৪০ আসনের মধ্যে ১৭টি করে সমান আসনে লড়বে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাকি ৬টি আসন দেওয়া হয়েছে রামবিলাস পাসওয়ানের এলজেপি-কে। রামবিলাসও বেঁকে বসলে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন অমিত শাহ। তবে তেজস্বীর এ দিনের মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, নীতীশ নিয়ে যেখানে প্রশ্ন, না আঁচানো পর্যন্ত ভরসা করা যায় না তাঁর উপর। নীতীশের ‘পাল্টি’ খাওয়ার একাধিক উদাহরণ রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। 

আরও পড়ুন- ইংরেজি পড়ানোর নতুন এই কায়দা দেখলে আপনারও স্কুলে যেতে ইচ্ছে করবে

আরজেডি-র প্রবীণ নেতা রঘুবংশ প্রসাদ সিং রবিবার বলেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে সপা-বসপার জোট ভুল সিদ্ধান্ত। ভবিষ্যতে জাতীয় স্তরে জোট রাজনীতির জন্য ভাল সংকেত নয়। রঘুবংশের দাবি, কংগ্রেসের মহাজোটেই থাকা উচিত ছিল সপা-বসপার। উল্লেখ্য, বিহারে মহাজোটে কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি, জিতেন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি অবম মোর্চা, মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির ঘর ভেঙে কংগ্রেসে যোগ দেন সাংসদ উপেন্দ্র কুশওয়াহা। 

.