'লালু প্রসাদের জেল নরেন্দ্র মোদীর খেল', প্রতিক্রিয়া আরজেডির
এর আগেও আরও একটি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হন তিনি। তার জেরেই লালুকে খোয়াতে হয় লোকসভার সদস্য পদ। এমনকি ভোটে দাঁড়ানো থেকেও বিরত থাকতে হয় তাঁকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এক মামলায় পৃথক ফল। আর তা নিয়েই এবার সোচ্চার আরজেডি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে দেওঘরের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে রাজস্ব ক্ষতি হয় প্রায় ৮৯ লক্ষ টাকা। আর দুর্নীতিতে নাম জড়ায় আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব, জগন্নাথ মিশ্র সহ ২২ জনের। শনিবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। লালু প্রসাদ সহ ১৫ জনকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হলেও, বেকসুর খালাস করা হয় জগন্নাথ মিশ্র সহ ৭ জনকে। এরপরই রাঁচির এই বিশেষ আদালতের বাইরে বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েন আরজেডি সমর্থকরা।
আরও পড়ুন- পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালু প্রসাদ যাদব
আরজেডি নেতা রঘুবংশ প্রসাদ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, এক মামলায় কী করে পৃথক ফল হয়? গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে আঙুল তুলেছে আরজেডি। রঘুবংশ প্রসাদ বলেন, ''এই মামলায় আমরা হতাশ হয়েছি ঠিকই, কিন্তু আমরা নিরাশ হচ্ছি না। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।'' তিনি আরও বলেন, ''এই রায় দেশবাসীর কাছে গোটা ঘটনা পরিষ্কার করে দিল। কার বা কাদের অঙ্গুলি হেলনে এই মামলার গতি প্রকৃতি চলছে তাও পরিষ্কার করে দিয়েছে এই মামলার রায়।'' এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে চলেছে আরজেডি।
এর আগেও আরও একটি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হন তিনি। তার জেরেই লালুকে খোয়াতে হয় লোকসভার সদস্য পদ। এমনকি ভোটে দাঁড়ানো থেকেও বিরত থাকতে হয় তাঁকে।