বডনগর স্টেশনেই কি ছিল মোদীর বাবার চায়ের দোকান? উত্তরে কী বললো পশ্চিম রেল?

পবনের আবেদনের দেননি পশ্চিম রেলের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন। এরপর তার অপেক্ষা না করে সরাসরি আবেদন করেন সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনে

Updated By: Aug 25, 2020, 08:07 PM IST
বডনগর স্টেশনেই কি ছিল মোদীর বাবার চায়ের দোকান? উত্তরে কী বললো পশ্চিম রেল?
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৮-র শেষের দিকে। উনিশের ভোটের দামামা তখন বেজে গিয়েছে। ছত্তীসগঢ়ের অম্বীকাপুরে এক জনসভায় বিরোধীদের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, "এখনও তারা কাঁদছে এই ভেবে যে একজন চা-ওয়ালা কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন?" এ শুধুই ভোটের মরশুমেই নয়, বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাত্কারেও তাঁর বাল্যকালের চা-বিক্রি গল্প বড়াই করে বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীরা তখন বিদ্রুপ করে বলেন, তিনি নাকি চা-বিক্রির কাহিনি শুনিয়ে দেশবাসীর সিমপ্যাথি আদায় করতে চান! এ ও এক তাঁর ভোটের কৌশল! তবে, বিরোধীদের কথায় কান না দিয়ে, আসল সত্যটা খুঁজতে বছর দুয়েক আগে তথ্য জানার অধিকারে একটি আবেদন দায়ের করেন হরিয়ানার এক আইনজীবী পবন পারেখ।

হরিয়ানা আদালতের আইনজীবীর প্রশ্ন ছিল, বডনগর স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর পিতা শ্রী দামোদর মোদীর চায়ের দোকানটি কোন সময়ে ছিল? তার জন্য কি কোনও অনুমতি পত্র (লাইসেন্স বা পার্মিট) দেওয়া হয়েছিল রেলের তরফ থেকে? এই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও নথির প্রতিলিপিও দাবি করেছিলেন পবন পারেখ। 

পবনের আবেদনে সাড়া দেয়নি পশ্চিম রেলের সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন। এরপর সরাসরি আবেদন করেন সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনে। সেখান থেকেও প্রথম আবেদনে কোনও জবাব মেলেনি। দ্বিতীয়বার আবেদন করেন তিনি। তখন সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন জানিয়ে দেয়, এই আবেদনের বিষয়ে কোনও রেকর্ড তাদের কাছে নেই। যুক্তি ছিল, এই ঘটনা অনেক দিনের, তাই তাদের কাছে রেকর্ড নেই।

আরও পড়ুন- চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে এবার লাদাখে নতুন এই মিসাইল মোতায়েন করল ভারত

পবন পারেখ জানিয়েছেন, RTI- আবেদন করে সদুত্তর না পাওয়ার ঘটনা তাঁর কাছে প্রথম নয়। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতি ছিল, প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন। তার সত্যতা জানতে RTI করেছিলেন তিনি।  ২০১৭ সোহরাবুদ্দিন এনকাউন্টার মামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অব্যাহতি ঘটনায় RTI করেন তিনি। এই দুটি ক্ষেত্রে কোনও জবাব পাননি বলে দাবি করেন হরিয়ানার আইনজীবী।

.