সমস্যা একেবারে অন্দরেই! ১২ বিধায়ককে নিয়ে দিল্লিতে কংগ্রেসের দরবারে সচিন
রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পান্ডে তাঁর রিপোর্টে লিখেছেন, সচিন পাইলট আসলে ভয় পাচ্ছেন তাঁর রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির পদটা গেল বলে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সমস্যা একেবারের রাজ্য কংগ্রেসের অন্দরেই। সচিন পাইলটের তত্পরতা রুখতে বিজেপিকে ঢাল করার চেষ্টা করছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গোহলট। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপি কংগ্রেসের ঘর ভাঙাচ্ছে বলে শনিবার দাবি করেছিলেন গেহলট। এদিকে, রবিবার সকালেই বদলে গেল ছবিটা। ১২ বিশ্বস্ত কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে দিল্লিতে সনিয়ার দরবারে হাজির রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি সচিন পাইলট। বল এখন কংগ্রেস হাইকমান্ডের কোর্ট।
আরও পড়ুন-সব জেনেও বিশ্বের কাছে করোনার তথ্য গোপন করেছে চিন আর WHO! ভয়ঙ্কর অভিযোগ হংকংয়ের বিজ্ঞানীর
এদিকে, রাজস্থান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পান্ডে সোনিয়া গান্ধীকে রিপোর্ট দিয়েছেন, রাজস্থান কংগ্রেসে কোনও গোলমাল নেই। দলের সব বিধায়করাই শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কিছু বিধায়কের ক্ষোভ রয়েছে। তা সমাধান করে ফেলা হবে। প্রসঙ্গত, ওই ক্ষোভের কথা মাথায় রেখেই হয়তো অশোক গেহলট অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি টাকা দিয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক কিনে সরকার ফেলে দিতে চাইছে।
কেন এমন অভিযোগ?
সম্প্রতি রাজ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করেছেন রাজস্থান পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। এছাড়াও রাজ্যের তিন জনের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ করেছে অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এরা গেহলট সরকারকে সমর্থন দানকারী ২ নির্দল বিধায়ককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের ঘুষ দিয়ে গত মাসের রাজ্যসভা নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ানোর চেষ্টা করেছিল। সেই ঘটানায় সচিন পাইলটের বয়ান রেকর্ড করার জন্য সময় চেয়েছিল স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। তাতেই নাকি খেপেছেন সচিন। তাঁর ধারনা রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির পদটা আর তাঁর থাকবে না।
সমস্যা আসলে এখানে!
রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পান্ডে তাঁর রিপোর্টে লিখেছেন, সচিন পাইলট আসলে ভয় পাচ্ছেন তাঁর রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির পদটা গেল বলে। ২০১৪ সাল থেকে তিনি রাজস্থানের কংগ্রেস সভাপতি রয়েছেন। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছে তাঁর নেতৃত্বেই। রাজনৈতিক মহলের ধারনা ছিল সচিনই হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু হাইকমান্ডের নির্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর কুরশিতে বসেন পাকা মাথার গেহলট।
এখন অশোক গেহলট মুখ্যমন্ত্রিত্ব পেলেও সচিনকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। সঙ্গে তাঁকে দলের সভাপতির পদেও রেখে দেওয়া হয়। রাজ্য কংগ্রেস সূত্রে খবর, সচিন মনে করছেন তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরানোর চেষ্টা করছে গেহলট শিবির। কংগ্রেস হাইকামান্ড সূত্রে খবর, ওই পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হতে পারে সচিনকে। সেই নিরাপত্তাহীনতা থেকেই ভেতরে ভেতরে সমস্যা তৈরি করছেন সচিন।