আমরা কেউ নিরাপদ নই, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সৌরভ-কন্যা সানা
পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য সানা সেটি ডিলিট করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৮ বছর বয়স তাঁর এখন। দুর্বার যে বয়স। ভাল-মন্দের তফাত বুদ্ধি দিয়ে বিচার করার যে বয়স। তবে এই বয়সে ক'জনেরই বা সানা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো পরিণত মানসিকতা থাকে! এই বয়সে সমাজ ও সমাজের সমস্যা নিয়ে কতজনই বা মাথা ঘামায়! সানা গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু সামাজিক সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পক্ষ-বিপক্ষের বাকবিতণ্ডা চলছে। এমন সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতির আঁচ লেগেছে সানার গায়েও। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি-তে সানা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিরোধিতা করেছেন।
সৌরভ-কন্যা সানা লেখক খুশবন্ত সিংয়ের ‘দ্য এন্ড অফ ইন্ডিয়া’ বইয়ের একটি অংশ তুলে ধরেছেন। সেখানে লেখা রয়েছে- ''যাঁরা মনে করছেন আমরা তো মুসলিম বা খ্রীষ্টান নই! তাই আমাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই! তাঁরা আসলে মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। পশ্চিমি সংস্কৃতি পছন্দ করা যুবসমাজ ও বামপন্থী ইতিহাসবিদদের আক্রমণ করতে শুরু করেছে সঙ্ঘ। ভবিষ্যতে ওদের নজর পড়বে স্কার্ট পর মেয়ে, মাংস খাওয়া লোকজন, মদ্য পান করা, বিদেশি সিনেমা দেখা, বছরে একবার অন্তত তীর্থযাত্রায় না যাওয়া লোকজনদের উপর। ওদের নজর পড়বে মাজনের বদলে টুথপেস্ট ব্যবহার করা লোকজনের উপর। যাঁরা দেখা হলে জয় শ্রীরাম বলে না চেঁচিয়ে হ্যান্ডশেক করে বা চুমু খেয়ে কুশল বিনিময় করে তাঁদের উপর। আমরা কেউ আর নিরাপদ নই। ভারতকে বাঁচাতে হলে এই সত্য়িটা আমাদের বুঝতে হবে।''
BCCI President @SGanguly99's daughter Sana Ganguly just won my heart by this post. Incredible maturity from an 18 year old. pic.twitter.com/wQN5eyfY6G
— Aparna (@chhuti_is) December 17, 2019
আরও পড়ুন- দাঙ্গা লাগানোর ক্ষমতা কার আছে দেশ জানে, বিস্ফোরক কেজরীবাল
পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য সানা সেটি ডিলিট করেন। তবে ততক্ষণে সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের অনেকেই সানার পরিণত মানসিকতার প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ আবার বলেছেন, মেয়ের এই উদারমনস্ক হওয়ার পিছনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান উল্লেখযোগ্য।