তীব্র হচ্ছে বিক্ষোভ, ১১ মৃত্যুর পর তুতিকোরিনে স্টারলাইট কারখানার সম্প্রসারণে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

স্ট্যালিন দাবি তুলেছেন, ‘কে ওই গুলি চালনার আদেশ দিয়েছিলেন তা জানাতে হবে। কেন অটোমেটিক গান থেকে গুলি চালানো হয়, কেনইবা বাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়নি তা বলতে হবে  

Updated By: May 23, 2018, 01:01 PM IST
তীব্র হচ্ছে বিক্ষোভ, ১১ মৃত্যুর পর তুতিকোরিনে স্টারলাইট কারখানার সম্প্রসারণে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদন: তুতিকোরিনে পুলিসের গুলিতে ১১ জনের মৃত্যুর পর কিছুটা স্বস্তির খবর। স্টারলাইট কপার ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানার সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিল আদালত।

মঙ্গলবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ তার রায়ে জানিয়ে দিল আপাতত বেদান্তের স্টারলাইট কপার কারখানার সম্প্রসারণ বন্ধ রখাতে হবে। স্বাভাবিকভাবে ওই রায়ের ফলে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ কিছু প্রশমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-পেট্রলের দাম লিটারে ২৫ টাকা কম করতে পারে সরকার, দাবি চিদম্বরমের

এদিকে মঙ্গলবারের গুলি চালনায় বিক্ষোভ ছড়াচ্ছে চেন্নাই সব বিভিন্ন জায়গায়। এনিয়ে সবর হয়েছে ডিএমকে। দলের প্রধান স্ট্যালিন দাবি তুলেছেন, ‘কে ওই গুলি চালনার আদেশ দিয়েছিলেন তা জানাতে হবে। কেন অটোমেটিক গান থেকে গুলি চালানো হয়, কেনইবা বাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়নি তা বলতে হবে।’

আরও পড়ুন-লাগামছাড়া পেট্রোল-ডিজেলের দাম, প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক ডিলারদের

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বেদান্তের ওই কারখানার দুষণ ও সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আন্দোলন ভয়ঙ্কর আকার ধারন করে। বিক্ষোভকারী জনতাকে বাগে আনতে পুলিস গুলি চালালে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত বহু। সংবাদ মাধ্যমের খবর পুলিস এসএলআর থেকে জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, একজনকে মারতেই হবে এমন নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিসকে।

গত তিন মাস ধরে বেদান্তের স্টারলাইট কপার-এর বিরেুদ্ধে আন্দোলন করছে সাধারণ মানুষ। দাবি, দূষণ সৃষ্টিকারী ওই কারখানা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি কারখানার সম্প্রসারণও করা ‌যাবে না। পরিস্থিতি বুঝে গতকাল পুলিস কারখানার আসপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

পুলিসের দাবি, এদিন কারখানা সংলগ্ন একটি চার্চের সামনে জড়ো হয় কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ। তাঁরা মিছিল করে কালেক্টরের অফিসে ‌যেতে চায়। পুলিস তাদের রুখে দেয়। তার পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। পুলিসের দিকে পাথর ছোঁড়ে জনতা। গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাধ্য হয়েই পুলিস গুলি চালায়। এতে মৃত্যু হয় ১১ জনের।

 

.