যোনি বিকৃতকরণ নিয়ে সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ : মেয়েরা শুধু স্বামীর জন্য বাঁচে না

এই প্রক্রিয়ায় ছয়-সাত বছরের মেয়েদের ভগাঙ্কুর আংশিক বা সম্পূর্ণ রূপে বাদ দেওয়া হয়। যেসব সম্প্রদায় এই প্রথায় বিশ্বাস করে তাদের দাবি, যোনির এই অংশ 'চামড়ার ব্যাভিচারী স্ফীতি'। মেয়েরা যাতে বিবাহ বিমুখ না হয়ে পড়ে সেজন্যই এই প্রথা জরুরি বলেও দাবি করা হয়।

Updated By: Jul 30, 2018, 09:46 PM IST
যোনি বিকৃতকরণ নিয়ে সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ : মেয়েরা শুধু স্বামীর জন্য বাঁচে না

নিজস্ব প্রতিবেদন: নারী খৎনা বা যোনি বিকৃতকরণ নিয়ে সোমবার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। দাউদি ভোরা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আজও চালু রয়েছে এই প্রথা। দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের এদিনের পর্যবেক্ষণ, নারী জীবনের একমাত্র লক্ষ বিবাহ নয়। এদিন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, এই প্রথা নারীত্বের অবমাননা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর আগে ৯ জুলাই সংক্ষিপ্ত শুনানিতেও এই প্রথার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত।

নারী খৎনা প্রথায় সাধারণত হাতুড়ে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানেই যোনি বিকৃত করা হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় ছয়-সাত বছরের মেয়েদের ভগাঙ্কুর আংশিক বা সম্পূর্ণ রূপে বাদ দেওয়া হয়। যেসব সম্প্রদায় এই প্রথায় বিশ্বাস করে তাদের দাবি, যোনির এই অংশ 'চামড়ার ব্যাভিচারী স্ফীতি'। মেয়েরা যাতে বিবাহ বিমুখ না হয়ে পড়ে সেজন্যই এই প্রথা জরুরি বলেও দাবি করা হয়। বিচারপতি এএম খানউইলকর, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং দীপক মিশ্র তাঁদের পর্যবেক্ষণে এদিন জানান, শুধুমাত্র বিবাহের দোহাই দিলেই এমন প্রথার গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়ে যায় না। বিয়ে ছাড়াও নারী জীবনের অন্যান্য অনেক দিক রয়েছে।

মুসলিম সম্প্রদায়ের আইনজীবী এএম সিংভি এদিন আদালতে বলেন, এই মামলাকে সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচার করা উচিত। এই মামলার সঙ্গে ধর্মীয় বিশ্বাস ও দীর্ঘ ঐতিহ্য জড়িয়ে থাকায় আদালতের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপও উচিত নয় বলে জানান এই প্রবীণ আইনজীবী। তবে, কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল জানিয়েছেন, অবিলম্বে এমন প্রথা রদ করা উচিত। অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড-সহ বিশ্বের ৩০টি দেশে এই প্রথা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলেও সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। আরও পড়ুন- সেনাবাহিনীতে ছিলেন ৩০ বছর, আজ জানলেন ভারতীয়ই নন!

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ভারতের প্রতিটি রাজ্যে এই প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হোক, এমন আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। সেখানে এই প্রথাকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসাবে নথিভুক্ত করার আবেদনও করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর মতে, বিশেষত ভোরা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে 'বেআইনিভাবে ও জোর করে' এমন কাজ করার অভিযোগ করা হয়েছে ওই আবেদনে। রাষ্ট্র সঙ্ঘের শিশু অধিকার ও মানবাধিকারের শর্ত লঙ্ঘনকারী হিসাবে এই প্রথাকে তুলে ধরা হয়েছে। আরও পড়ুন- দেখলেই গ্রেফতার করুন চোকসিকে, অ্যান্টিগুয়া সরকারকে আর্জি দিল্লির

.