ধৈর্য্য ধরতে হবে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি রাতারাতি স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়: সুপ্রিম কোর্ট

জম্মু-কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের আগেই সেখানে কড়া নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। ৩৭০ বিলোপের ঘোষণা হওয়ার পরপরই স্থানীয় রাজনৈতিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের গৃহবন্দি বা আটক করা হয়

Updated By: Aug 13, 2019, 04:28 PM IST
ধৈর্য্য ধরতে হবে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি রাতারাতি স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়: সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কিছুটা স্বস্তিতে কেন্দ্র। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, এখনই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ নয়। সরকারকে কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে জানায় শীর্ষ আদালত।

এ দিন জম্মু-কাশ্মীরে কার্ফু, ১৪৪ ধারা, ইন্টেরনেট-ফোন পরিষেবা বন্ধ-সহ কেন্দ্রের একাধিক পদক্ষেপ দ্রুত তুলে নিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা। তবে, এই মামলার দ্রুত রায় দিতে রাজি হয়নি বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ জানায়, “আমরাও চাই শান্তি ফিরে আসুক। কিন্তু রাতারাতি সম্ভব নয়। এখনও কেউ জানে না ওখানে কী চলছে? সরকারের উপর আস্থা রাখতে হবে। এটি স্পর্শকাতর বিষয়।”

উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের আগেই সেখানে কড়া নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। ৩৭০ বিলোপের ঘোষণা হওয়ার পরপরই স্থানীয় রাজনৈতিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের গৃহবন্দি বা আটক করা হয়। কার্ফু ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয় অধিকাংশ জায়গায়। ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গতকাল ইদ উপলক্ষে এই কড়াকড়ি একটু শিথিল করলেও ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা এখনও চালু করা হয়নি। দিনের শেষে ফের আঁটোসাঁটো করা দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা। আবেদনকারীদের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁদের আত্মীয়দের। এমনকী নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

আরও পড়ুন- JioFiber-এ বাজিমাত মুকেশ অম্বানীর, দ্রুত হারে কমল Airtel ও Vodafone-এর শেয়ারের দর

সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল জানান, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখছে সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সরকার নিয়ন্ত্রণ তুলে নেবে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বেণুগোপাল মনে করান কাশ্মীরে পুরনো অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, “২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানি-সহ ৩ জঙ্গির মৃত্যুর পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রাস্তায় নেমে পড়ে মানুষ। বিক্ষোভের জেরে ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারোর মৃত্যু হয়নি।”

এরপর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “সত্যিকারের ছবিটাও আমাদের জানা উচিত। তবে, সময় দিতে হবে। স্বাভাবিক হওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে, ফের আদালতে এসে জানাতে পারে।” দু’সপ্তাহের জন্য এই আবেদন মুলতুবি করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।  

.