Netaji Subhas Chandra Bose: হনুমানের মতই সাহসী, অজেয়! বাংলায় এই মন্দিরে পুজো পান নেতাজী...
Netaji Subhas Chandra Bose: বাংলার এই গ্রামে নেতাজী পুজো পান। অন্যান্য বিগ্রহের সঙ্গে সারাবছর নিয়ম করে পুজো করা হয় দেশনায়ককে। কিন্তু কেন?
1/6
দেবতাজ্ঞানে মন্দিরে পুজো পান
2/6
প্রথা মেনে
প্রথা মেনে এবারও সুভাষচন্দ্রের জন্মদিনের প্রাক্কালে সেই প্রস্তুতি চলছে জলপাইগুড়ির মাসকলাইবাড়ি পঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরে। মন্দির কমিটির দাবি, শহর থেকে গ্রামে বহু মনীষীর মূর্তি দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে সেগুলি আবার সারাবছর কার্যত অনাদরে পড়ে থাকে। শুধু বিশেষ দিনগুলিতে মূর্তি পরিষ্কার হয়। রংয়ের প্রলেপ পড়ে। ফুল-মালা দেওয়া হয়। কিন্তু মনীষীদের দেবতাজ্ঞানে মন্দিরে সারাবছর পুজো করা, জলপাইগুড়ি ছাড়া গোটা দেশে আরও কোথাও হয় বলে মনে হয় না। নেতাজি ছাড়াও ওই মন্দিরে রয়েছে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি। (তথ্য-প্রদ্যুত দাস)
photos
TRENDING NOW
3/6
পাকাপোক্ত সিমেন্টের মূর্তি
সালটা ১৯২৭। দেশে আছড়ে পড়ছে স্বাধীনতা আন্দোলনের ঢেউ। সেসময় জলপাইগুড়ির মাসকলাইবাড়িতে জঙ্গলঘেরা এলাকায় সাধন-ভজন শুরু করেন স্বামী করপাত্রী মহারাজ। শোনা যায় হৃষিকেশ থেকে এসেছিলেন তিনি। এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘বুড়ো বাবা’ নামে। পরবর্তীতে ওই সাধুই তৈরি করেন মন্দিরটি। অন্যান্য দেবতার সঙ্গে তিনি মন্দিরে স্থান দেন নেতাজিকে। বেদীমূলে তৈরি করা হয় সুভাষচন্দ্রের পাকাপোক্ত সিমেন্টের মূর্তি। মন্দির প্রতিষ্ঠার পর রাম-সীতা, শিব-পার্বতী, হনুমানের সঙ্গে পুজো শুরু করেন নেতাজির। সেই থেকে চালু হয়ে যায় রেওয়াজ। যা আজও বহন করে চলেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। (তথ্য-প্রদ্যুত দাস)
4/6
সকাল-সন্ধ্যা পুজো করা হয়
মন্দিরের বর্তমান পুরোহিত অমিয় দাস বলেন, ‘আমি অনেক বছর ধরে পুজো করছি। দেবতার স্থানে থাকলে সব মূর্তিই তো পুজো পাবে। সেই অর্থে নেতাজি মূর্তিকেও নিয়ম করে সকাল-সন্ধ্যা পুজো করা হয়ে থাকে। অন্য বিগ্রহকে যে ভোগ দেওয়া হয়, মনীষীর মূর্তির সামনেও নিবেদন করা হয় একই ভোগ।’ তাঁর কথায়, ‘নেতাজির জন্মদিবসে ফি বছর পায়েস-ভোগ নিবেদন করা হয়। এবারও কেক, পায়েস, মিষ্টি দেওয়া হলো।’ (তথ্য-প্রদ্যুত দাস)
5/6
ভক্তরা বলেন
এদিন সকাল থেকেই ছোট থেকে বড় ভক্তদের মন্দিরের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ভক্তরা বলেন, পুজো দিতে এসে দেখি মন্দিরে বহু ভক্তদের ভিড়, আজকের দিনে নেতাজিও পায়েস, কেক মিষ্টি ফুল দিয়ে পুজিতো হচ্ছেন, ভালো লাগছে। ‘আমাদের জন্মের আগে থেকে ওই মন্দির। প্রবীণদের কাছে যতটুকু শুনেছি, হৃষিকেশ থেকে যে সাধু এসে ওই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, তিনি মনীষীদের দেবতাজ্ঞানে দেখতেন। জঙ্গলের মধ্যে তাঁদের ছবি সামনে রেখে ধ্যান করতেন। (তথ্য-প্রদ্যুত দাস)
6/6
দেশনায়ক
photos