Death of Five Lakh People: হাড়হিম! অল্প সময়ের মধ্যে ৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু! অজানা রহস্যে আতঙ্কের আবহ...

Death of Five Lakh People | Extinction of Vultures: ২০০৬ সালের পর থেকেই কিছু জায়গায় শকুনমৃত্যুর সংখ্যাটা কমতে থাকে! তবে দেখা যায়, শকুনের অন্তত তিন প্রজাতির খুবই বড় ক্ষতি হয়েছে। কতটা ক্ষতি?

| Jan 21, 2025, 16:52 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মানুষ আর প্রকৃতির যোগাযোগ বহু গভীরে প্রোথিত। এবং সে যোগাযোগ খুব সহজও নয়। জটিল ও গাঢ় রহস্যে ঢাকা। যা সব সময় খালি চোখে বোঝা যায় না। যেমন, অসুস্থ গবাদি পশুর চিকিৎসা হল, এর জেরে কোটি কোটি শকুনের মৃত্যু হল, আর এর জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হল। ধাঁধার মতো লাগল? তাহলে জেনে নিন প্রকৃত কাহিনি। 

1/6

শয়ে-শয়ে শকুন

ভারতে একসময় শকুনের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি ছিল। বিশেষত যে-যে জায়গায় গবাদি পশুর দেহ ফেলা হত তেমন বিস্তীর্ণ জায়গায় শকুনের রাজ্য দেখা যেত যেন। এজন্য় মাঝে-মাঝে বিমান চালকেরাও অসুবিধায় পড়তেন। উড়ন্ত বিমানের সামনে সহসাই এসে পড়ত বিশালাকার কোনও শকুন।

2/6

৫ কোটি থেকে '০'

কিন্তু গত দু'দশকে পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বদল ঘটেছে। সহসাই উধাও হয়ে গেল সব পাখি। ১৯৯০ সাল নাগাদ শকুনের সংখ্যা ছিল ৫ কোটি। দু দশকের মধ্যে যা ঝপ করে 'শূন্যে' নেমে আসে!

3/6

কুড়ি-কুড়ি বছরের আগে

কোথায় গেল এত পাখি? আসলে বছরকুড়ি আগে হঠাৎই দেখা গিয়েছিল বিপুল সংখ্যায় শকুন মরছে! কেন? কোনও এক বিশেষ ওষুধের কারণে এটা ঘটছিল। অসুস্থ গরুকে এই ওষুধটা দেওয়া হত।

4/6

গরুর ওষুধে শকুনের মৃত্যু

কোন ওষুধের জন্য এরকম? ডাইক্লোফেনাক। এটি গবাদি পশুর নন-স্টেরয়েডাল পেইনকিলার হিসেবে পরিচিত। যেটি পরে শকুনের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর বলে জানা যায়।

5/6

৯১ থেকে ৯৮ শতাংশ

এটা জানার পর থেকেই শকুনদের নিরাপত্তার কথা ভাবা হয়। ফলস্বরূপ ২০০৬ সাল নাগাদ ডাইক্লোফেনাক ওষুধটিকে ব্যান করে দেওয়া হয়। ফলও মেলে হাতে হাতে। ২০০৬ সালের পর থেকেই বেশ কিছু জায়গায় শকুনের মৃত্যুর সংখ্যাটা কমতে শুরু করে! তবে দেখা যায়, শকুনের প্রজাতিগুলির মধ্যে অন্তত তিনটি প্রজাতির খুবই বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। এদের ৯১ থেকে ৯৮ শতাংশের মৃত্যু ঘটেছে!

6/6

ব্যাকটেরিয়া-সংক্রমণ

কিন্তু এজন্য ৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু কীভাবে ঘটল? 'আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোশিয়েশন জার্নালে' (American Economic Association Journal) এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, শকুনের এই অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে একটি ব্যাকটেরিয়া আসলে রমরম করে ছড়িয়ে পড়েছিল! সেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকেই পাঁচ বছরে অন্তত পাঁচ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে! শকুন আমাদের অনেক রোগ-সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। ব্যাপারটা এত স্বাভাবিক ভাবে ঘটে যে আমরা সব সময়ে এটা বুঝতে পারি না। এই ঘটনায় মানবপ্রজাতির প্রতি শকুনের নীরব অবদানটা সম্ভবত প্রথম উপলব্ধি করে মানুষ।