Gopal Chandra Bhattacharya: বাঙালির তন্নিষ্ঠ বিজ্ঞানসাধনার অন্যতম বিশিষ্ট মুখ

| Aug 01, 2021, 21:01 PM IST
1/5

একজন ভারতীয় তথা বাঙালি পতঙ্গবিশারদ ও উদ্ভিদবিদ, যিনি গ্রামীণ পরিবেশে লভ্য কীটপতঙ্গের উপর গবেষণাকর্মের জন্য বিখ্যাত। এ বিষয়ে তিনি 'বাংলার কীটপতঙ্গ' গ্রন্থটি রচনা করেন। এই বইটির জন্য ১৯৭৫ সালে তিনি 'রবীন্দ্র পুরস্কার'ও লাভ করেন। বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে তিনি 'করে দেখ' নামক তিন খন্ডের গ্রন্থও রচনা করেন।

2/5

এ হেন গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্যের আজ জন্মদিন। ১৮৯৫ সালের ১ আগস্ট এই প্রতিভাধর মানুষটি এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা অম্বিকাচরণ ভট্টাচার্য একজন গ্রাম্য পুরোহিত ছিলেন। মা শশীমুখীদেবী একজন গৃহবধূ ছিলেন। গোপালচন্দ্রের পাঁচ বছর বয়সে অম্বিকাচরণের মৃত্যু। দারিদ্র্যেই তাঁর শৈশব অতিবাহিত হয়। বিদ্যালয়শিক্ষা শেষ করার পর গোপালচন্দ্র ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে আই.এ. পড়ার জন্য কলেজে ভর্তি হলেও অর্থের অভাবে পড়া শেষ করতে পারেননি। এরপর তিনি একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই সময় তিনি সাহিত্যচর্চায় উৎসাহী হয়ে ওঠেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন হাতে-লেখা পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করতেন।

3/5

১৯১৮ সালে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে টেলিফোন অপারেটর হিসেবে কাজ করার সময় প্রবাসী পত্রিকায় তাঁর একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হলে তা জগদীশচন্দ্র বসুর নজরে আসে। জগদীশচন্দ্র তাকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বসু বিজ্ঞান মন্দিরে নিযুক্ত করেন। এই প্রতিষ্ঠানে থেকেই তিনি জীববিদ্যার ওপর গবেষণা শুরু করেন।  

4/5

১৯৪০ সালে বোস ইনস্টিটিউটের পত্রিকায় তিনি দেখান পিঁপড়ে ও মৌমাছির মতো সামাজিক কীটপতঙ্গের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।  পিঁপড়ের জন্য স্বচ্ছ বাসা বানিয়ে চুপচাপ নিরীক্ষণ করে তিনি এই পর্যবেক্ষণ করেন।  তিনি লক্ষ্য করেন, কী ভাবে শিকারি বোলতা তাদের বাসার মুখ বন্ধ করার জন্য ছোট ছোট পাথরের টুকরো ব্যবহার করে। প্রজননকালে ঘুরঘুরে পোকা কী ভাবে শিকারিদের আক্রমণ থেকে তার ডিম রক্ষা করার জন্য পেছনের পা দিয়ে কাদার তৈরি গোলক নির্মাণ করে, তা-ও পর্যবেক্ষণ করেন। ব্যাঙাচি থেকে পূর্ণাঙ্গ ব্যাঙে পরিবর্তনের সময় কিছু ব্যাক্টেরিয়ার উপকারিতা সম্বন্ধেও তিনি গবেষণা করেন। বিচিত্র তাঁর বৈজ্ঞানিক জীবন। 

5/5

১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে গোপালচন্দ্র সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেন। পুলিনবিহারী দাসের সঙ্গে তিনি অক্লান্ত ভাবে বিজ্ঞান জনপ্রিয় করার কর্মকাণ্ডে নামেন। ১৯৫০ সালে 'জ্ঞান ও বিজ্ঞান' নামক বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।