IPL 2021: এক ঝলকে ফিরে দেখা মরসুমের সেরা বিদেশিদের

May 08, 2021, 22:37 PM IST
1/6

কোভিড (COVID-19) ধাক্কায় মাঝ পথেই বন্ধ হয়ে চোদ্দতম আইপিএল (IPL 2021)। এখনও বাকি ৩১টি ম্যাচ। আইপিএল কোনও কারণে যদি এ বছর বিসিসিআই (BCCI) পুণরায় শুরু করতে না পারে, তাহলে ক্ষতি হবে ২৫০০ কোটি টাকা। এমনটাই জানিয়েছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguli)। মনে করা হচ্ছে সেপ্টেম্বরে ফের আইপিএল অনুষ্ঠিত হতে পারে 'করোনা-ফ্রি' কোনও দেশেই। প্রতিবারের মতোই এবারও বেশ কিছু বিদেশি ক্রিকেটার তাঁদের পারফরম্যান্সে নজর কাড়লেন। এই প্রতিবেদনে থাকছে সেই পাঁচ ক্রিকেটারেরই কথা। তাঁরা হলেন- ফাফ দু প্লেসিস (Faf Du Plessis), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (Glenn Maxwell), মঈন আলি (Moeen Ali), কায়রন পোলার্ড (Kieron Pollard) ও ক্রিস মরিস (Chris Morris)

2/6

ফাফ দু প্লেসিস, যাঁর নাম এখন 'মিস্টার কনসিসটেন্ট'। চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স দেওয়াটা প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের কাছে সহজাত হয়ে গিয়েছে। এই মরসুমে তাঁর ব্যাট থেকে ৭ ম্যাচে ৩২০ রান এসেছে। ফাফের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৫.৪৫। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৫। দেখতে গেলে চেন্নাই যে যে ম্যাচে ১৮০ পার করেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন ফাফ। টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কেকেআরের বিরুদ্ধে ৬০ বলে অপরাজিত ৯৫ ও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২৮ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে ঝলসেছিলেন।  

3/6

জার্সি বদলে নিজেকে বদলে ফেললেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। গত মরসুমে পুরো টুর্নামেন্টে একটি ছয়ও মারতে পারেননি ম্যাক্সওয়েল। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের (অধুনা পঞ্জাব কিংস) হয়ে ১৩ ম্যাচে  ১৫-র গড়ে সাকুল্যে ১০৮ রান করেছিলেন তিনি। ৪ মেরেছিলেন মোটে ৯টি। ম্যাক্সওয়েলকে ছেড়ে দেয় পঞ্জাব। কিন্তু নিলাম যুদ্ধে চেন্নাইকে হারিয়ে ১৪.২৫ কোটি টাকা দিয়ে ম্যাক্সওয়েলকে ঘরে নেয় আরসিবি। আর ম্যাক্সওয়েল প্রমাণ করে দেন যে, কোহলির দল কোনও ভুল করেনি। ডিভিলিয়ার্স-কোহলির ওয়ার্ক লোড ভাগ করে নেন তিনি। ৭ ম্যাচে ২২৩ রান করেন তিনি ১৪৫-এর স্ট্রাইক রেটে। ছিলেন ভয়ঙ্কর ফর্মে। চার নম্বরে নেমে কামাল করেছেন তিনি।

4/6

মঈন আলিকে মিনি নিলামে যখন চেন্নাই সুপার কিংস এই মরসুমে নিয়েছিল, তখন অনেকেই অনেক প্রশ্ন তুলেছিলেন ইয়েলো আর্মিতে তাঁর আগমনী নিয়ে। কিন্তু ব্রিটিশ অলরাউন্ডার সবার মুখ বন্ধ করে দেন। তিনে ক্যামিও-স্পেশালিস্ট হয়ে নেমে চমকে দেন। দ্রুত ৩০ থেকে ৫০ করাই ছিল মঈনের প্রধান কাজ। ৬ ম্যাচে ২০৬ রান করা মঈন মিডল অর্ডারের প্রাণভোমড়া হয়ে যান। বল হাতেও কিন্তু ছাপ রাখেন ৬ ম্যাচে ৫ উইকেট নেন তিনি।   

5/6

কায়রন পোলার্ডকে নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান নিজেই আজ টি-২০ ক্রিকেটে একটা নাম। এবারের আইপিএলে শুরুর দিকে তিনি হয়তো হোঁচট খেয়েছেনে। কিন্ত চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে আইপিএলের 'এল ক্লাসিকো'তে পোলার্ড বুঝিয়ে দেন কেন তিনি বিপক্ষের কাছে আজও ত্রাস। ৩৪ বলে ম্যাচ জেতানো ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পোলার্ডের আইপিএল কেরিয়ারে এটা অন্যতম সেরা ইনিংস

6/6

প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস সত্যিই একজন কার্যকরী অলরাউন্ডার। ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে দিল্লির আবেশ খানের সঙ্গে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় যুগ্ম সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন। ৭ ম্যাচে ৪৮ রান করলেও, তার মধ্যে একটি ইনিংসে তিনি রান তাড়া করতে নেমে ১৮ বলে ৩৬ করেন। সেই ম্যাচে মরিসের রাজস্থান ১৪৮ তাড়া করে দিল্লির বিরুদ্ধে তিন উইকেট ও ২ বল বাকি রেখেই ম্যাচ জিতে নেয়।