'রোগী ফেরাবেন না,অন্যান্য জরুরি চিকিৎসা পরিষেবাগুলি দিন', কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Apr 29, 2020, 19:28 PM IST
1/5

নিজস্ব প্রতিবেদন : "শুধু করোনা নিয়ে থাকলে তো চলবে না, শিশুদের টিকাকরণ ও অন্যান্য যে বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলোও দেখতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বলছি, আপনারা অন্য কোনও রোগীকে দয়া করে ফিরিয়ে দেবেন না।" এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলির উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

2/5

করোনা আতঙ্কে বিভিন্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় এদিন খানিকটা রুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "করোনার চিকিৎসার পাশাপাশি অন্যান্য জরুরি, শিশু ও প্রসূতিদের চিকিৎসার দিকেও নজর দিতে হবে।" একইসঙ্গে আরও বলেন, "সরকার থেকে ৫১টা বেসরকারি হাসপাতাল আমরা নিয়েছি কোভিড চিকিৎসার জন্য। সেইসব হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সব খরচ সরকার দিচ্ছে। বাকি যে বেসরকারি হাসপাতালগুলো রয়েছে, তারা কেন অন্যান্য চিকিৎসা শুরু করছেন না? তারা তো সেটা করতেই পারেন।"

3/5

মাস্ক, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং সহ সবরকম করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ফের একবার সবাইকে মাস্ক পরার বিষয়ে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "মাস্ক পরতেই হবে। করোনা আজ চলে যাবে নাকি কাল, কেউ জানে না। আমাদের এখানেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মে মাসের শেষ পর্যন্ত এটা চলবে। তারপর জুলাই মাস নাগাদ বর্ষার সময় এটা হয়তো আবার একটু বাড়বে। কিন্তু মাস্ক আমাদের পরতেই হবে। মাস্ক পরাটা আমাদের এখন প্রতিদিনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে।"  

4/5

উল্লেখ্য, করোনা পজেটিভের বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু তারপর মঙ্গলবার একই নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে আমরা একটু আগে ভেবেছিলাম, পরে কেন্দ্রীয় সরকারও সেটাই দিয়েছে। তার মানে এই নয় যে আমাদের হাতে বেড নেই।" 

5/5

বেডের সংখ্যা নিয়ে বিরোধীদের আনা অভিযোগ উড়িয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কলকাতায় কোভিডের চিকিৎসার জন‍্য এখনও ৭৯০টি বেড রয়েছে। আমাদের ম‍্যানপাওয়ার অনেক বাড়িয়েছি। এখন ১৪টা ল‍্যাব কাজ করছে।" প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের আজকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেস ৫৫০। সুস্থ হয়েছেন ১২৪ জন। করোনায় মৃত ২২।