EXCLUSIVE | Tangra Murder Case: সেদিন শেষবারের মতো ট্যাংরার দে-বাড়িতে পুজো করতে গিয়েছিলেন 'বুলা ব্রাহ্মণ', তারপর...'

Tangra Murder Case Latest Updates: পুলিসসূত্রে খবর, সম্পূর্ণ সুস্থ নন বলে বড় ভাই প্রণয়কে আরও কিছুদিন শহরের এক সরকারি হাসপাতালে রাখা হবে। ছোট ভাই প্রসূন তো এখনও বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তিই। প্রশ্ন, এঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে? তিন মহিলার খুনি কে, বা কারা? চলছে জোর তদন্ত। আর এরই মধ্যে নতুন মোড়।

| Feb 23, 2025, 12:27 PM IST

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতকাল শনিবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন বড় ভাই প্রণয় দে ও তাঁর নাবালক ছেলে। পুলিসসূত্রে খবর, সম্পূর্ণ সুস্থ নন বলে প্রণয়কে আপাতত আরও কিছুদিন শহরের এক সরকারি হাসপাতালে রাখা হবে। ছোট ভাই প্রসূন এখনও বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালেই ভর্তি। প্রশ্ন, এঁদের ভবিষ্যৎ কী? ৩ মহিলার খুনি কে, বা কারা? আর এরই মধ্যে নতুন মোড়। কী মোড়? এবার ঘটনাস্থলে ঢুকে পড়লেন দে বাড়ির নিত্যপুজোর পুরোহিত। (তথ্য: রণয় তিওয়ারি)

1/6

'বুলা ব্রাহ্মণ'

কে তিনি? তাঁর নাম দীপক চৌধুরী। 'বুলা ব্রাহ্মণ' নামেই তিনি বেশি পরিচিত। গত একবছর ধরে দে পরিবারে পুজো করে আসছেন তিনি। ঘটনার একদিন আগে, তাঁকে ওই বাড়িতে পুজো করতে আসতে বারণ করা হয়। তাঁকে বলা হয়, তিনি যেন পরদিন পুজো করতে আসেন। কিন্তু ওই দিন গিয়ে তিনি দেখেন, বাড়ির সামনে পুলিস! ঘরের ভেতরে তিনজনের দেহ!

2/6

রোজ সকালে

দীপক চৌধুরী ওরফে বুলা ব্রাহ্মণ বলেন, গত এক বছর ধরে ওই বাড়িতে তিনি পুজোর কাজ করতেন। দেখতেন, প্রয়োজন ছাড়া, কেউ কখনোই কোনও কথা বলতেন না। রোজ সকাল ৮টা নাগাদ পুজো করতে যেতেন তিনি।

3/6

মাইনে ৪৫০০ টাকা

দীপক ঠাকুরমশাই জানান, পুজো করার জন্য মাসে তাঁকে ৪৫০০ টাকা মাইনে দেওয়া হত। তাঁর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে তাঁর মাইনের ওই টাকাটা ঢুকে যেত। মোটামুটি সময়েই টাকা ঢুকত!

4/6

দেরিতে টাকা

তবে শেষের দিকে মাইনে ঢুকতে দেরি হত। এমনিতে যেখানে মাসের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে মাইনে দেওয়া হত, শেষের দিকে সেখানে মাইনে ঢুকতে কখনও কখনও ২০ তারিখ, কখনও ২২ তারিখ, কখনও এমনকি ২৫ তারিখও হয়ে যেত!

5/6

পুজো করতে হবে না

পুরোহিতমশাই জানান, ঘটনার দুদিন আগে, অর্থাৎ, সোমবার শেষবারের মতো দে পরিবারে পুজো করতে গিয়েছিলেন তিনি। 'মঙ্গলবারে পুজো করতে যেতে হবে না, বুধবারে আসবেন'! এই মর্মে কাজের লোককে দিয়ে দীপক পুরোহিতকে এই খবর পাঠিয়েছিলেন দে বাড়ির ছোটো কর্তা। কেন? তাহলে কি পুরো বিষয়টিই ঠান্ডা মাথায় আগে থেকেই ছকে রাখা ছিল?

6/6

বিস্মিত

দীপকপুরোহিত জানান, রবিবার তাঁকে বলা হয়, সোমবার থেকে একটু দেরিতে আসার জন্য, বাচ্চাদের পরীক্ষা আছে। তাই সোমবার সকাল ৮টার বদলে সাড়ে ৯টা নাগাদ পুজো করতে যান তিনি। তার পরদিন তো তাঁর আসার কথা নয়, তাই আসেননি। আর, তার পরদিনেই তো সব শেষ! ঘটনার পরে সব জেনে হতবাক পুরোহিতমশাই জানান, এরকম এক পরিবার এই ধরনের কোনও কাজ করতে পারে বলে তিনি যেন ভাবতেই পারছেন না!