1/13
সময়ের অগোচরে হারিয়ে যায় রুপোলি প্রেম
প্রেমের ফাঁদ পাতা বলিউডে। এ কথা বহু পুরনো। মন দেওয়া, নেওয়া চলতেই থাকে এই রঙীন দুনিয়ায়। মিডিয়ার বদান্যতায় তা কখনও হয় আরও রঙীন। কিন্তু পরিণতি পায় খুব কমই। সময়ের অগোচরে হারিয়ে যায় বেশিরভাগ সম্পর্কই। কেন? রুপোলি পর্দার আড়ালে ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যাগুলো কিন্তু একই। সাধারণ মানুষের জীবনের থেকে খুব একটা পার্থক্য নেই সেগুলোর।
কখনও সম্পর্কে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে পারিবারিক বাধা, কখনও তৃতীয় ব্যক্তির আগমন, তো কখনও মনোমালিন্য। কখনও বা হিন্দি ছবির মতোই চেপে বসেছে সামাজিক বাধা। এমনই কিছু ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক, যা একসময় জনপ্রিয়তায় পিছনে ফেলে দিয়েছে যে কোনও ব্লকবাস্টার ছবিকে, খবরের কাগজ, ম্যাগাজিনের পাতা ভরিয়েছে দিনের পর দিন, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে গিয়েছে নীরবে, তেমনই এক ডজন প্রেম কাহিনি নিয়ে এই স্লাইড শো।
2/13
দেব আনন্দ-সুরাইয়া
সুরাইয়া যখন দেব আনন্দের প্রেমে পড়েন তখন তিনি নেহত্ই কিশোরী। সুরাইয়ার সুরের আবেগে তখন ভাসছে গোটা দেশ, এদিকে বলিউডে সদ্য পা রেখেছন দেব আনন্দ। প্রেমের জোয়ারে ভেসেছিলেন দুজনেই। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় সুরাইয়ার পরিবার। সুরাইয়ার ঠাকুমা কোনওদিনই নাতনির সম্পর্ক মেনে নেননি।
সুরাইয়া সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার পর দেব তাঁকে "কাপুরুষ` বলেছিলেন। সেইসময় নিজের জীবনের সবকিছুর থেকেই সুরাইয়াকে বেশি ভালবাসতেন দেব। পরে ২৯৭২ সালে স্টারডাস্টকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সুরাইয়া মনের কথা খুলে বলেছিলেন। দেব তাঁকে বলেছিলেন, পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম ভালবাসা। সামাজিক ও পারিবারিক বাধা তোমার হৃদয়কে রুখতে দিও না। কিন্তু তারপরও দেবকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিলেন সুরাইয়া। পরে সারাজীবন নিজের সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখ করেছেন সুরাইয়া।
3/13
রাজ কপূর-নার্গিস
বলিউডের লাভার বয় রাজ কপূর বরাবরই নিজের ছবির অভিনেত্রীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে নার্গিসের ব্যাপার সত্যিই ছিল আলাদা। পাগলের মতো নার্গিসের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন রাজ। "আগ` ছবিতে দুজনে প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করলেও প্রেমে পড়েন "বরসাত` ছবির সেটে। পর্দায় রসায়নই বলে দিচ্ছিল দুজনের সম্পর্কের গভীরতা। বহু ব্লকবাস্টার ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন দুজনে। "শ্রী ৪২ ০ ` ছবির "প্যায় হুয়া একরার হুয়া` এখনও প্রেমের গান হিসেবে সব প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়।
কিন্তু এই প্রেম কাহিনি পূর্ণতা পায়নি। নার্গিসের প্রেমে পড়লেও রাজ কপূর তখন বিবাহিত ছিলেন। নার্গিস রাজকে বিয়ে করতে প্রস্তুত থাকলেও , রাজ স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চাননি। দশ বছর রাজের জন্য অপেক্ষা করার পর নার্গিস মাদার ইন্ডিয়ার সহ-অভিনেতা সুনীল দত্তকে বিয়ে করেন। প্রেমের পরিণতি যাই হোক না কেন, নার্গিস-রাজের জুটি ভারতীয় ছবির ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছে।
4/13
দিলীপ কুমার-মধুবালা
লাস্যের রানি মধুবালা দিলীপ কুমারের প্রেমে পাগল হয়েছিলেন। সেইসময়ের অন্যান্যদের মতো তাঁরা কখনই লুকিয়ে থাকেননি। বরাবরাই মিডিয়ার সামনে খোলাখুলি ভাবেই এসেছেন। "ইনসানিয়ত` ছবির প্রেমিয়ারে একসঙ্গে হাত ধরে মিডিয়ার সামনে ধরা দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ে হল না কেন?
এই প্রেমের গল্পো প্রায় বলিউড ছবির মতোই। মধুবালার বাবা আতাউল্লাহ খান এই সম্পর্কের বিরোধী ছিলেন। কোনওদিনই মধুবালাকে বিয়ের অনুমতি দেননি। মধুবালাও বাধ্য মেয়ের মতো কোনওদিনই বাবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করতে চাননি। নয়া দৌড় ছবির শুনানি চলার সময় আদালতে দাঁড়িয়ে দীলিপ কুমার বলেছিলেন, আমি মধুবালাকে ভালবাসি। যতদিন মধু বেঁচে থাকবে আমি ওকে ভালবেসে যাব।
5/13
সঞ্জীব কুমার-হেমা মালিনী
বলিউডে পা রেখে অনেকেই নিজের ভালবাসা খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সকলের প্রতি সদয় হয়নি। নিজের সময়ের সবথেকে প্রতিভাশালী অভিনেতা মনে করা হত সঞ্জীব কুমারকে। মহিলাদের পছন্দের তালিকায়ও শীর্ষে ছিলেন সঞ্জীব। তবে তিনি প্রেমে পড়েছিলেন একজনেরই। ড্রিম গার্ল-হেমা মালিনী। এতটাই গভীর ছিল সেই ভালবাসা যে জীবনে আর কাউকেই ভালবাসতে পারেননি তিনি। হেমা মালিনীকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু তাঁকে ছেড়ে হেমা মালিনী বেছে নিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্রকে। আঘাত পেয়ে একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন সঞ্জীব। অনেকেই মনে করেন সেই কারণেই সারাজীবন অবিবাহিত থেকে গিয়েছেন সঞ্জীব।
6/13
অমিতাভ-রেখা
বলিউডের সবথেকে চর্চিত অথচ অসফল প্রেম বোধহয় এটাই। দো আনজানে ছবির সেটে প্রেমে পড়েন দুজনে। বরাবরই মিডিয়ার চর্চার বিষয় ছিল তাঁদের প্রেম। এমনকী, এও শোনা গিয়েছিল তাঁরা দুজনে লুকিয়ে বিয়ে করেছেন। ঋষি কপূর-নীতু সিঙের বিয়েতে রেখার সিঁথিতে সিঁদূর, গলায় মঙ্গলসূত্র দেখে অনেকেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন। তবে রেখার প্রেমে ভাসলেও অমিতাভ কোনওদিন স্বীকার করেননি সম্পর্কের কথা। অন্যদিকে বরাবরাই সাহসী রেখা বলে গিয়েছেন অমিতাভের প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা।
১ ৯৮৪ সালে ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রেখা জানান, ""কেন করতে পারেন না অমিতাভ? নিজের ভাবমূর্তি, পরিবার, সন্তানদের রক্ষা করতে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন অমিতাভ। কেন সকলে আমাদের ভালবাসার কথা জানবে? আমি ওকে ভালবাসি, ও আমাকে ভালবাসে। সেটাই শেষ কথা!`` শেষ "সিলসিলা` ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন দুজনে। শুটিং শেষ হওয়ার পর থেকে সম্পর্কও আলগা হতে শুরু করে।
রেখা বরাবরই অমিতাভকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কখনও অমিতাভের জীবনে "অন্য নারী` হয়ে থাকতে চাননি তিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পেরেছিলেন সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যত্ নেই। ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে সঙ্গে পর্দার রসায়নও থেমে যায় দুজনের।
7/13
মিঠুন-শ্রীদেবী
বলিউডের ডিস্কো ডান্সারের সঙ্গে চাঁদনীর প্রেম কাহিনি ঝড় তুলেছিল মিডিয়ায়। "জাগ উঠা ইনসান` ছবির সেটে দুজনেই মাতোয়ারা হয়েছিলেন প্রেমে। যদিও তখন যোগিতা বালির সঙ্গে সংসার করছেন তিনি। নিজেরা কখনও মিডিয়ার সামনে স্বীকার না করলেও সূত্রে খবর ছিল তাঁরা নাকি গোপনে বিয়েও সেরে ফেলেছেন। এমনকী, মিঠুন বাড়ি ছেড়ে শ্রীদেবীর সঙ্গে থাকছেন বলেও শোনা গিয়েছিল।
কাহানি মে টুইস্ট আসে যখন শ্রীদেবী স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে তাঁকে বিয়ে করতে বলেন মিঠুনকে। কিন্তু মিঠুন কখনই ডিভোর্স দিতে প্রস্তুত ছিলেন না। গভীর অবসাদে যখন যোগিতা বালি আত্মহত্যা করতে যান, তখন মিঠুন শ্রীদেবীর সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেন। এরপরই হঠাত্ সকলকে চমকে দিয়ে খবর আসে প্রযোজক বনি কপূরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেধেছেন শ্রীদেবী।
অক্ষয়-রবিনা
নব্বইয়ের দশকে হলুদ সিক্ত সিফন শাড়িতে রবিনার "টিপ টিপ বরসা পানি` বহু পুরুষের হৃদয়ে দোলা লাগিয়েছিল। সৌন্দর্য আর সেনসুয়ালিটির মিশেল ছিলেন রবিনা। কিন্তু সকলকে বাদ দিয়ে খিলাড়ি অক্ষয়ের প্রেমে মশগুল হয়েছিলেন রবিনা। মন্দিরে দুজনে গোপনে আংটি বদলও করেছিলেন। সকলে যখন তাঁদের বিয়ের খবরের অপেক্ষায় ছিলেন, সেইসময়ই মুক্তি পায় "খিলাড়িও কা খিলাড়ি`। রেখার সঙ্গে অক্ষয়কে নিয়ে ছড়াতে থাকে নানা মুখরোচক গল্পো।
এমনিতেই অক্ষয়ের ক্যাসানোভা চরিত্র সামলাতে হিমসিম খাচ্ছিলেন রবিনা। অবশেষে হাল ছেড়ে দেন তিনি। ১ ৯৯৯ সালের জুলাই মাসে রবিনা জানান, সব মেয়েকেই অক্ষয় প্রস্তাব দেন। তবে কোনও মহিলাকেই সম্পর্ক ভাঙার জন্যই দায়ী করেন না তিনি। অক্ষয় নিজেই সত্ ছিলেন না।
8/13
অক্ষয়-রবিনা
নব্বইয়ের দশকে হলুদ সিক্ত সিফন শাড়িতে রবিনার "টিপ টিপ বরসা পানি` বহু পুরুষের হৃদয়ে দোলা লাগিয়েছিল। সৌন্দর্য আর সেনসুয়ালিটির মিশেল ছিলেন রবিনা। কিন্তু সকলকে বাদ দিয়ে খিলাড়ি অক্ষয়ের প্রেমে মশগুল হয়েছিলেন রবিনা। মন্দিরে দুজনে গোপনে আংটি বদলও করেছিলেন। সকলে যখন তাঁদের বিয়ের খবরের অপেক্ষায় ছিলেন, সেইসময়ই মুক্তি পায় "খিলাড়িও কা খিলাড়ি`। রেখার সঙ্গে অক্ষয়কে নিয়ে ছড়াতে থাকে নানা মুখরোচক গল্পো।
এমনিতেই অক্ষয়ের ক্যাসানোভা চরিত্র সামলাতে হিমসিম খাচ্ছিলেন রবিনা। অবশেষে হাল ছেড়ে দেন তিনি। ১ ৯৯৯ সালের জুলাই মাসে রবিনা জানান, সব মেয়েকেই অক্ষয় প্রস্তাব দেন। তবে কোনও মহিলাকেই সম্পর্ক ভাঙার জন্যই দায়ী করেন না তিনি। অক্ষয় নিজেই সত্ ছিলেন না।
9/13
অক্ষয়-শিল্পা
রবিনার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর শিল্পার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অক্ষয়। ১৯৯৭ সালে "ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি` ছবিরে সেট থেকে শুরু হয় প্রেম কাহিনি। শিল্পার সঙ্গেও আংটি বদল করেন অক্ষয়। "ধড়কন` ছবির শুটিং-এর সময়ই হঠাত্ টুইঙ্কল খন্নার সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্কের কথা শোনা যেতে থাকে। প্রচার হয়ে যায় শিল্পার সঙ্গে সম্পর্কে থাকতে থাকতেই টুইঙ্কলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন অক্ষয়। শিল্পার কানে খবর যেতেই সম্পর্র ভেঙে দেন তিনি।
তবে ধড়কনের মুক্তি পর্যন্ত চুপচাপ ছিলেন শিল্পা। ছবি হিট হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। ২০০২ সালে একটি সাক্ষাত্কারে শিল্পা বলেন, "অক্ষয় কুমার আমাকে ব্যবহার করেছে ও সুবিধামতো অন্য কাউকে খুঁজে নিয়ে আমাকে ছুঁড়ে ফেলেছে।`` বহুদিন পর বিগ বসের সেটে দেখা হয় দুজনের। শিল্পা অক্ষয়কে বলেন, "আপনিতো অনেক স্টান্ট করেছেন।`` অক্ষয় জবাব দেন, "জি হাঁ! আপনার থেকে ভাল আর কে জানে।``
10/13
অভিষেক-করিশমা
করিশমা যখন কেরিয়ারের শিখরে, তখনও বলিউডে পা রাখেননি অভিষেক। কিন্তু করিশমার সঙ্গে বচ্চন পুত্রের সম্পর্ক তখন থেকেই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর তাঁদের বাকদান পর্বও হয়েছিল বেশ ঘটা করেই। দুই পরিবারের সম্পর্কও ছিল মধুর। কপূর-বচ্চন পরিবারের বিগ ফ্যাট বলিউডি বিয়ে দেখতে অপেক্ষা করছিলেন সকলেই। কিন্তু হঠাত্ই শোনা যায় বিয়ে হচ্ছে না অভিষেক-করিশমার। দুই পরিবারের সম্পর্কও নাকি খুব তিক্ত।
শোনা যায় করিশমার মা ববিতার অতিরিক্ত নাক গলানোর চোটেই নাকি ভেঙেছে সম্পর্ক। ববিতার খবরদারিতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন করিশমার হাই প্রোফাইল হবু শ্বশুর। এদিকে অভিষেকও বরাবরই বাবার বাধ্য ছেলে। তাই শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় সম্পর্ক। তার কিছুদিনের মধ্যেই সঞ্জয় কপূরকে বিয়ে করেন করিশমা। পরে বাবার পছন্দেই ঐশ্বর্যকে বিয়ে করেন অভিষেক।
11/13
শাহিদ-করিনা
দীর্ঘ পাঁচ বছর সম্পর্ক ছিল শাহিদ-করিনার। সেইসময় বলিউডে তাঁরাই ছিলেন সবথেকে চর্চিত জুটি। শাহিদের জন্য নিজের জীবনধারাই বদলে ফেলেছিলেন করিনা। আমিষ ছেড়ে নিরামিশাষী হয়েছেন শাহিদের জন্যই। শাহিদের কেরিয়ার বলিউডে বিশেষ কূল না পেলেও করিনার সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তিনি সব সময়ই খবরে থাকতেন। শোনা গেছে অন্য নায়কদের সঙ্গে করিনা বেশি কথা বললেও সমস্যা হত শাহিদের। প্রেমে এই সব কিছুই মেনে নিয়েছিলেন করিনা।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও সম্পর্ক টেকেনি। শোনা যায় এখানেও নাকি কারণ সেই ববিতা। বড় মেয়ের মতোই ছোট মেয়ের সম্পর্ক নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। প্রযোজকদের কাছে শাহিদের জন্য করিনার সুপারিশ অপছন্দ ছিল ববিতার। এমনকী, দিদি করিশমারও বিশেষ মত ছিল না সম্পর্কে। তাই সমস্যা লেগেই ছিল। সেইসময়ই টশন ছবির শুটিং-এ সইফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় করিনার। কিসমত কানেকশনের সেটেও বিদ্যা-শাহিদকে নিয়ে শোনা যেতে থাকে মুখরোচক গল্পো। অবশেষে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন করিনা। অবসাদ কাটাতে সইফের কাঁধই ছিল একমাত্র ভরসা।
12/13
জন-বিপাশা
বলিউডে সবথেকে দীর্ঘ সময়ের সম্পর্ক ছিল বোধহয় জন আব্রাহাম, বিপাশার। টানা দশ বছর লিভ ইন করেছেন দুজনে। ছবির প্রেমিয়ার থেকে বলিউডের যেকোনও অনুষ্ঠানে সবসময় একসঙ্গেই দেখা গিয়েছে জন-বিপাশাকে। দুজনে একসঙ্গে হিট ছবি দিয়েছেন, বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছে একসঙ্গে। জীবনের ওঠাপড়ায় ছায়াসঙ্গী ছিলেন একে অপরের।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে বিপাশার চুম্বন বা সলাম-এ-ইশক ছবির সেটে বিদ্যার সঙ্গে জনের জড়িয়ে পড়া কিছুই তাঁদের সম্পর্ককে টলাতে পারেনি। কিন্তু এহেন সম্পর্কও ভেঙে গেল সময়ের আঘাতে। সম্পর্ক ভাঙার পর বিপাশা বলেছিলেন তাঁরা দুজনেই সম্পর্ক ভাঙার জন্য সমানভাবে দায়ী। আসলে দুজনেই বড্ড একরকম। একগুঁয়ে, জেদি, ইগো, অনিশ্চয়তা যেই মিলগুলো একসময়ে কাছাকাছি এনেছিল সময়ের অগোচরে সেগুলোই সম্পর্ক ভাঙার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবুও অদম্য ভালবাসাই তাঁদের দশ বছর একসঙ্গে ধরে রেখেছিল।
13/13