Madhumita On Pele: কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গিয়ে অভিনেত্রী 'মেরে' ফেললেন জীবিত তারকাকে!
Madhumita On Pele: কিংবদন্তি পেলেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে চেয়েছিলেন মধুমিতা সরকার। তবে বাংলার অভিনেত্রী এমনটা করতেই গিয়েই বিরাট ভুল করে ফেলেন। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত ট্রোলড হন তিনি। বলা ভালো ফেসবুকে 'পপিউলার নাও' হয়ে গিয়েছেন মধুমিতা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জীবনের লড়াইয়ে অবশেষে হেরেই যেতে হয়েছে এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো পেলেকে (Pele)। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন 'ফুটবল সম্রাট'। ৮২ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়েছে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির। তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ী বিশ্বের একমাত্র ফুটবলারের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বলাই বাহুল্য সাধারণ থেকে সেলেবে সকলেই শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন 'ব্ল্যাক পার্ল'কে। তালিকায় আছেন বাংলার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারও (Madhumita Sarcar)। শুক্রবার অর্থাৎ আজ সকালে, মধুমিতা ফেসবুকে পেলেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গিয়েই, বিরাট ভুল করে ফেলেন। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত ট্রোলড হন তিনি।
মধুমিতা পেলের ছবির সঙ্গেই জুড়ে দেন জীবিত তারকা ফুটবলারকে। রিয়াল মাদ্রিদে খেলা বছর তেইশের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়াস জুনিয়রের (Vini Jr) ছবি ব্যবহার করে ফেলেন মধুমিতা ! 'আরআইপি লেজেন্ড' ক্যাপশনের সঙ্গেই নমস্কার করা ইমোজি ব্যবহার করেন মধুমিতা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। নায়িকা কেন এমন করেছেন, তা তিনিই বলতে পারবেন। তবে মধুরিমার ঐতিহাসিক ভুলের স্ক্রিনশট আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও মধুমিতা পরে সেই পোস্ট ডিলিট করে পেলের ছবি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
আরও পড়ুন: Kylian Mbappe On Pele: এমবাপেকে 'প্রিয় বন্ধু' বলতেন পেলে, 'রাজা'র প্রয়াণে বিধ্বস্ত ফরাসি তারকা
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর দিয়েগো মারাদোনা প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর দু'বছর পর ফের অভিভাবকহীন ফুটবল। ফুটবল রয়ে গেল। সর্বকালের দুই সেরা আজ আকাশের তারা। তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ী বিশ্বের একমাত্র ফুটবলারের আয়ু যে ধীরে ধীরে কমে আসছিল তা জানা গিয়েছিল হাসপাতালের রিপোর্ট থেকেই। ফুটবলবিশ্ব কিছুটা হলেও প্রস্তুত ছিল এই দুঃসংবাদের জন্য।বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে। বাড়িতে কম হাসপাতালে বেশি সময় কাটাতে হয়েছে তাঁকে। সদ্যসমাপ্ত কাতার বিশ্বকাপ চলার সময় পেলের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল। সেইজন্য সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এমনকী বড়দিনে পুরো পরিবার চলে এসেছিল পেলেকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য। চিকিৎসকরা এককথায় সময় দিয়েই দিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন যে, পেলের ক্যানসার আরও ছড়াচ্ছে। এর পাশাপাশি কিডনি এবং হৃদযন্ত্রেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে শেষপর্যন্ত আর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে পারলেন না পেলে। এক যুগের সমাপ্তি ঘটল পেলের প্রয়াণের সঙ্গে।