Mamata Banerjee on Samar Banerjee: আদ্যন্ত মোহনবাগানী কিংবদন্তি বদ্রু স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা

Mamata Banerjee on Samar Banerjee:  শনিবার ভোর ২.১০ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি ফুটবলার। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। অ্যালজাইমার্সও ছিল। রেখে গেলেন নাতনি এবং পুত্রবধূকে। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া ফুটবল জগতে।

Reported By: সব্যসাচী বাগচী | Updated By: Aug 20, 2022, 12:36 PM IST
Mamata Banerjee on Samar Banerjee: আদ্যন্ত মোহনবাগানী কিংবদন্তি বদ্রু স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা
ফাইল ছবি

জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বরাবরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of West Bengal) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৬-১৭ সালে তাঁকে 'লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড'  প্রদান করে। এহেন কিংবদন্তি ফুটবলার সমর বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Samar Banerjee) শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। শনিবার ভোরে ৯২ বছরে থেমে যান ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'তারকা ফুটবলার সমর (বদ্রু) ব্যানার্জির প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। 

তিনি ১৯৫৬ সালে মেলবোর্নে সামার অলিমপিক্সে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। এছাড়া মোহনবাগান, বালি প্রতিভা ক্লাব, বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে দলেও খেলেছিলেন। অংশ নিয়েছেন ডুরান্ড কাপ, কলকাতা ফুটবল লিগ, আইএফএ শিল্ড, রোভার্স কাপে। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল অতুলনীয়। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি সমর (বদ্রু) ব্যানার্জির পরিবার-পরিজন ও  অনুরাগীদের  আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।' বদ্রুর নেতৃত্বে ১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিকে (Melbourne Olympics) ভারতীয় ফুটবল দল (Indian Football Team) সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ার কাছে শেষ চারের লড়াইয়ে হেরে যাওয়ায় সেবার আর ফাইনালের ছাড়পত্র পায়নি ভারত। ফুটবলার ও কোচ হিসেবে সন্তোষ ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব ছিল তাঁর। 

আরও পড়ুন : Florentin Pogba, Durand Cup: সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কী বার্তা দিলেন 'বার্থ-ডে বয়' পল পোগবার দাদা?

আরও পড়ুন : Samar Banerjee Death: ৯২ বছরে থামলেন অলিম্পিয়ান 'বদ্রু'

শনিবার ভোর ২.১০ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি ফুটবলার। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। অ্যালজাইমার্সও ছিল। রেখে গেলেন নাতনি এবং পুত্রবধূকে। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া ফুটবল জগতে। ১৯৩০ সালের ৩০ জানুয়ারি হাওড়ার বালিতে বিখ্যাত ব্যানার্জি পরিবারে জন্ম বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাড়িতে ফুটবলের একটা পরিবেশ ছিলই। পরিবারের প্রায় সকলেই ছিলেন ফুটবল অনুরাগী। আলোচনায় কলকাতার তিন প্রধান-ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডান স্পোর্টিংয়ের প্রসঙ্গ উঠত। 

বদ্রুর দাদা রাধানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন খ্যাতিমান ফুটবলার ছিলেন। কিন্তু অল্পবয়সেই তিনি মারা যান। খেলার মধ্যেই আহত হয়ে তিনি মারা যান। দাদার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন বদ্রু। দাদার স্মৃতি আঁকড়ে বড় ফুটবলার হওয়ার শপথ নেন তিনি। খেলায় তাঁকে উৎসাহ দিতেন নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কার্তিক চট্টোপাধ্যায়, ল্যাংচা মিত্রের মতো ব্যক্তিত্ব।

মিলন সমিতি ক্লাবে অভিষেক হয় বদ্রুর। পরে বালি প্রতিভা ক্লাবে যোগ দেন তিনি। পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুটবল চালাচ্ছিলেন বদ্রু। এরপর যোগ দেন বিএনআর-এ। কলকাতা লিগে বিএনআর-এর হয়ে বেশ ভাল খেলেন তিনি। তাঁর খেলা দেখে মুগ্ধ হন মোহনবাগান কর্তারা। ১৯৫২ সালে বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়কে সই করান হয় সবুজ-মেরুনে। আট মরসুম মোহনবাগানের হয়ে খেলেন তিনি। তাই বদ্রুর কাছে মোহনবাগান শুধু একটা ফুটবল ক্লাব নয়, একটা প্রতিষ্ঠান। তাঁর কাছে মোহনবাগান ছিল মন্দিরের মতো। মোহনবাগানকে বুকে করেই চলে গেলেন বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.