ফের আইপিএলে ফিক্সিং-এর ছায়া! এক ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা বুকির
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিসিসিআই দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা।
নিজস্ব প্রতিবেদন- ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইপিএলকে কলঙ্ক মুক্ত রাখার সবরকম চেষ্টা করছে। তবুও যেন চেষ্টায় খামতি থেকে যাচ্ছে। আইপিএলে টাকার ছড়াছড়ি। আর এমন ক্রোড়পতি লিগ থেকে কিছুতেই বুকিদের নজর সরছে না। ২০১৩ সালে আইপিএলে ফিক্সিং কাণ্ডের পর সতর্ক ও সজাগ বিসিসিআই। কোনওভাবেই যাতে আইপিএলের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়, সেদিকে কড়া নজর রেখেছে বিসিসিআই। তবুও বুকিদের কুনজর থেকে আইপিএলকে বাঁচানো যাচ্ছে না। দুবাইতে অনুষ্ঠিত এবারের আইপিএলে ফিক্সিং কাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা করছে বুকিরা। আর সেই কথা বিসিসিআই কর্তাদের কানে এসে পৌঁছেছে। তারপর থেকেই আরো বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার কর্তারা।
বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান অজিত সিং জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে একজন ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বুকিরা। সেই ক্রিকেটার অবশ্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারদের কথাটা জানিয়েছেন। নিয়ম মেনে সেই ক্রিকেটারের নাম এবং তিনি কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেন, সেসব তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিসিসিআই দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। দুবাইতে বুকিদের চক্র আইপিএলে দুর্নীতির সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার কর্তারা এতটাই সজাগ যে তা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- আইপিএল-এ গ্যালারি কাঁপিয়েছিল এই ৫ দুরন্ত ক্যাচ, দেখে নিন
এমনিতেই এবার ক্রিকেটাররা করোনার জন্য জৈব সুরক্ষার বলয়ে থাকছেন। সেখানে বাইরের কোনো ব্যক্তির প্রবেশের প্রশ্নই ওঠে না। এমনকী খেলার বাইরে ক্রিকেটাররাও ওই বলয় থেকে বেরিয়ে যেখানে সেখানে যেতে পারবেন না। তবুও আইপিএল চলাকালীন ক্রিকেটারদের দিকে নজর রেখেছে বিসিসিআই। দুর্নীতি দমন শাখার কর্তারা টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে এবং পরে একাধিকবার ক্রিকেটারদের সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারদের এই ব্যাপারে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তারা যাতে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত কোনওরকম চক্রের ফাঁদে না পড়েন সেদিকেও খেয়াল রাখছে দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশেষ ক্লাসেও বসেছিলেন দুর্নীতি দমন শাখার কর্তারা।