তোমার মতো কত প্লেয়ার এল, গেল! শামিকে বলেছিলেন ধোনি
২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে তিনি ধোনির ধমক খেয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন— ধোনির মাথা গরম! এমন কথা সচরাচর শোনা যায় না। বিরাট কোহলি যেমন আবেগ ধরে রাখতে পারেন না। দলের কোনও ক্রিকেটার ক্যাচ ফেললে বা ফিল্ডিং মিস করলে তিনি মাঠেই প্রতিক্রিয়া জাহির করে বসেন। তবে ধোনি একেবারেই তেমন নন। তাঁর শাসন করার ধরণ আলাদা। সেটা কেমন, বললেন মহম্মদ শামি। কিছুদিন আগে ভারতীয় স্পিনার কুলদীপ যাদব বলেছিলেন, ধোনি কখনও রেগে গেলে ঠিক কী হয়! এর আগেও ভারতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার বলেছিলেন, ধোনির মাঝেমধ্যে রেগে যাওয়ার কথা। তবে সেটা খুবই বিরল ঘটনা। ধোনি বলতে গেলে রাগেনই না। এবার শামি জানালেন, কীভাবে তিনি ধোনির কাছে বকুনি খেয়েছিলেন!
২০১৩ সালে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল বাংলার পেসারের। ওই বছরই সচিন তেন্ডুলকর ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই সিরিজে অভিষেক হয়েছিল শামির। ইডেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে চারটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচটি উইকেট নিয়েছিলেন শামি। এর পর ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে তিনি ধোনির ধমক খেয়েছিলেন। ওয়েলিংটন টেস্টে ব্রেন্ডন ম্যাকুলাম ৩০২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু ম্যাকুলাম ১৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যেতেন। বিরাট কোহলি তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন। তাও আবার শামির বলে। এর পর আরও এক ভারতীয় ফিল্ডার শামির বলে ক্যাচ ফস্কান। তখনই আর মাথার ঠিক রাখতে পারেননি শামি। তিনি এমন একটি বাউন্সার দেন যে সেটি ধোনির মাথার উপর দিয়ে বাউন্ডারি লাইনে চলে যায়।
আরও পড়ুন— পরমাণু বোমা বন্ধক রাখতে হবে পাকিস্তানকে! ভিক্ষা চাইছেন জাভেদ মিয়াঁদাদ
শামির সেই কাণ্ড মোটেই পছন্দ হয়নি ধোনির। তিনি শামিকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, কেন এমন করলে! শামি উত্তরে বলেছিলেন, আমার হাত ফস্কে বলটা বেরিয়ে গিয়েছিল। ধোনি তখন বলেন, ''আমি তোমার সিনিয়র। তোমার ক্যাপ্টেন। তোমার মতো অনেক ক্রিকেটার এল, খেলল, চলে গেল। অন্য কাউকে বোকা বানিও। আমাকে মিথ্যে বলে লাভ হবে না।'' আর এই কথাগুলো ধোনি নাকি তাঁকে কড়া হয়েই বলেছিলেন। জানিয়েছেন শামি।