কোলাডোর শেষ মুহূর্তের গোলে চার্চিলের বিরুদ্ধে কোনওরকমে হার বাঁচাল ইস্টবেঙ্গল
চার্চিলের বিরুদ্ধে এদিন কার্ড সমস্যায় ছিলেন না ইস্টবেঙ্গলের কাশিম আইদারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আই লিগের শেষ ২টো ম্যাচে জয় এসেছিল। কিন্তু যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আই লিগ ফিরলেও জয় উধাও ইস্টবেঙ্গলের। চার্চিলের বিরুদ্ধে কোনও রকমে হার বাঁচাল লাল-হলুদ। ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত।
চার্চিলের বিরুদ্ধে এদিন কার্ড সমস্যায় ছিলেন না ইস্টবেঙ্গলের কাশিম আইদারা। তবে শুরু থেকে ভিক্টর পেরেজকে মাঠে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। ক্রোমাকে অবশ্য বেঞ্চে রেখেই প্রথম একাদশ সাজিয়ে ছিলেন তিনি। এদিকে ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটে প্লাজার গোলে এগিয়ে যায় চার্চিল ব্রাদার্স। আসির আখতার, মেহতাব সিংদের মাটি ধরিয়ে অনায়াসে গোল করে গেলেন উইলিস প্লাজা। পিছিয়ে পড়ে মরিয়া চেষ্টা চালায় কোলাডোরা। ১৮ মিনিটে ওয়ান টু ওয়ান চান্স পেয়েও গোলকিপারের হাত মারেন কোলাডো। প্রথমার্ধের শেষলগ্নে চার্চিল একটা সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু গোল হয়নি। প্রথমার্ধে শেষ হয় ১- ০ গোলে ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা চালায় ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোমাকেও মাঠে নামান মারিও। লাল-হলুদ আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়লেও, কাঙ্খিত গোল আসছিল না। ৬৭ মিনিটে ক্রোমা বল জালে জড়ালে ও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোল। এরপর একবার বারে লেগে ফিরে আসে বল। বহু চেষ্টা করেও কিছুতেই গোল আসছিল না। এরপরই ইনজুরি টাইমে বক্সের মধ্যে ক্রোমাকে ফেললে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোলাডোর শট চার্চিল গোলকিপার আটকে দিলেও ফিরতি শটে গোল করেন তিনি। শেষ মুহূর্তের গোলে মুখ রক্ষা লাল হলুদের।
১৪ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ৪ নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ৩ নম্বরে চার্চিল ব্রাদার্স।
আরও পড়ুন- ফুটবল খেলেই সবার চাকরি জোটে এই গ্রামে; আট থেকে আশি তাই সারা বছর মেতে থাকে পায়ে বল নিয়ে!