ফুটবল খেলেই সবার চাকরি জোটে এই গ্রামে; আট থেকে আশি তাই সারা বছর মেতে থাকে পায়ে বল নিয়ে!
একটা গোটা গ্রাম, গ্রামের আট থেকে আশি— সকলের ধ্যান, জ্ঞান শুধু ফুটবল। পড়াশোনার চেয়ে ফুটবল খেলেই বেশি চাকরি পান এই গ্রামের বাসিন্দারা।


নিজস্ব প্রতিবেদন: একটা গোটা গ্রাম, গ্রামের আট থেকে আশি— সকলের ধ্যান, জ্ঞান শুধু ফুটবল। বিগত ৪২ বছর ধরে গ্রামে বড়সড় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজনের কারণও একটাই। কর্মসংস্থানের ‘সর্ট কাট’। পড়াশোনার চেয়ে ফুটবল খেলেই বেশি চাকরি পান এই গ্রামের বাসিন্দারা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব রাজস্থানের উদয়পুরের জাওয়ার মাইনস গ্রামের।
উদয়পুরের এই গ্রামটি ফুটবলের গ্রাম বা ‘ফুটবল ভিলেজ’ নামেই বেশি পরিচিত। এখানে প্রায় দু’শোটির মতো পরিবার আছে, যাঁরা অংশ নেন ৪২ বছর ধরে চলা ফুটবল টুর্নামেন্টে। সেনা বাহিনী, ব্যাংক, বিমান, রেল, পুলিস-সহ বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ছুটে আসেন এই গ্রামে। যেমন, গত রবিবারই এই ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল জলন্ধর শিখ রেজিমেন্ট আর দিল্লি এয়ার ফোর্স। ওই ম্যাচ ২-০ গোলে জিতে নেয় জলন্ধর শিখ রেজিমেন্ট।
আরও পড়ুন: উইকএন্ডে ঘুরে আসুন অথৈ জলের মাঝখানে মৌসুনি দ্বীপে
এখন গ্রামের বেশির ভাগ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই সরকারি চাকরি করেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ফুটবল ছাড়া এই গ্রামে অন্য কোনও খেলা হয়ই না। এখানে ফুটবলের আসর বসলে মহিলা-শিশু-সহ গোটা গ্রাম ভিড় জমান খেলা দেখতে। ফুটবলই এই গ্রামে বেঁচে থাকার, অন্ন সংস্থানের একমাত্র রসদ।