''আমি তো গত সাড়ে ছ'বছর ধরে লকডাউনে আছি''
২০১৩ আইপিএল ফিক্সিং কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়েছিল। তাঁর কেরিয়ার তার পরই শেষ। হাজার চেষ্টা করেছেন ক্রিকেটে ফিরে আসার! কিন্তু পারেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদন— প্রায় দুমাস হতে চলল। দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। করোনার প্রকোপ কমাতে লকডাউন ছাড়া আর কিছু করার নেই সরকারের। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না। সারাদিন ঘরবন্দি অবস্থা। বিরক্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। কতদিন চলবে এই ঘরবন্দি দশা! তা নিয়েও এখনই কিছু জানায়নি সরকার। তবে লকডাউন যে দীর্ঘ হবে সেই আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে। কারণ গোটা দেশে আগুনের মতো ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে লকডাউন শিথিল করে দিলে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাত্, মানুষের বিরক্তি আরও কিছুদিন বাড়বে। আর এই সময়টাকে নিজের কেরিয়ারের সঙ্গে তুলনা করেছেন ভারতীয় পেসার এস শ্রীসন্থ।
২০১৩ আইপিএল ফিক্সিং কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়েছিল। তাঁর কেরিয়ার তার পরই শেষ। হাজার চেষ্টা করেছেন ক্রিকেটে ফিরে আসার! কিন্তু পারেননি। একটা সময় ভারতীয় পেস অ্যাটাক—এর অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন শ্রীসন্থ। কিন্তু ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিজের কেরিয়ার নিজেই লাটে তুলেছেন তিনি। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে অবশ্য শ্রীসন্থের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এবার তিনি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। আপাতত সেই অপেক্ষায় দিন কাটছে তাঁর। তবে এখন তাঁর ৩৭ বছর বয়স। পেশাদার ক্রিকেট সার্কিটে এই বয়সে ফিরে কি তিনি সুবিধা করতে পারবেন! সেই উত্তর অবশ্য সময় দেবে।
আরও পড়ুন— লকডাউনে জোরকদমে ফিটনেস চর্চা, কেমন কাটছে ঋদ্ধির কোয়ারেন্টিন জীবন, জেনে নিন
শ্রীসন্থ এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ''দেখুন, সবাই হয়তো এই কদিন লকডাউনে থেকে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। আমার পেশার দিক থেকে বিচার করলে আমি তো গত সাড়ে ছবছর ধরেই লকডাউনে আছি। শুধু সিনেমা, টিভিতে অভিনয় করেছি। কিন্তু যেটা আমার সবচেয়ে ভালোবাসার খেলা, সেই ক্রিকেট থেকেই দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে আমাকে। অনেকে ভাবছেন, এতদিন পর মাঠে ফিরে আমি কি ভাল পারফর্ম করতে পারব? তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি কিন্তু এই সময়টাতে বসে ছিলাম না। ইনডোর প্র্যাকটিস করেছি। নিজেকে ফিট রাখতে যা যা করার করেছি।''