India vs Pakistan: 'ভারত-পাক ম্যাচে দিনের আলো থাকবে ২৪ ঘণ্টা'! ইংল্যান্ডকে পাল্টা আইসল্যান্ডের
২০১৩ সালের পর থেকে ভারত-পাকিস্তান কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি কোনও ফরম্যাটেই। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে শেষবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল লাল বলের ক্রিকেটে। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণেই বাইশ গজে দুই দেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাইশ গজে 'মাদার অফ অল ব্যাটল' বলতে ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচকেই বলে। বিশ্বের বাকি ক্রিকেটীয় দেশগুলি খুব ভালভাবেই জানে যে, এই ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা ঠিক কোন জায়গায় থাকে। ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলেও এই ম্যাচ লহ্মী নিজে হেঁটে আসে, সে খেলা বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক না কেন! ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট (England and Wales Cricket Board) বোর্ডও এই দুই দেশের ক্রিকেটীয় যুদ্ধের মুনাফা নিতে চেয়েছিল। এই কারণেই কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড মৌখিক ভাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (Board of Control for Cricket in India) প্রস্তাব দিয়েছিল যে, তাদের দেশে অনুষ্ঠিত হোক ভারত-পাক টেস্ট মহাযুদ্ধ। যদিও বিসিসিআই (BCCI) সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে রুটের দেশের এই বিশেষ প্রস্তাবকে।
ভারতকে দেওয়া ইংল্য়ান্ডের প্রস্তাবের কথা জানতে পেরেছে আইসল্যান্ড ক্রিকেটও। এবার তারা মজা করে এমন এক ট্যুইট করল যা, সকলের মন জয় করে নিয়েছে। বরফ দেশের ক্রিকেটীয় বোর্ড ইসিবি ক্রিকেট ও আইসিসি-কে ট্যুইটারে ট্যাগ করে লিখেছে, 'আমরা শুনলাম যে, ইংল্যান্ড ভারত-পাকিস্তান টেস্ট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সরকারি ভাবে জানাচ্ছি যে, আমরাও সেই একই প্রস্তাব দিচ্ছি। জুন-জুলাই মাসে খেলার আয়োজন করলে ২৪ ঘণ্টাই থাকবে দিনের আলো। ভালো ট্যুইটও এই ম্যাচ কভার করবে। আমরা নিরাপত্তায় স্নাইপারও রাখব।' বিসিসিআই-এর এক আধিকারিক ইংল্যান্ডের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, 'দেখুন ইসিবি পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলেছে ভারত-পাকিস্তান সিরিজের ব্যাপারে। যেটা বিচিত্র। কোনও ভাবেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলা বিসিসিআই ঠিক করবে না। এই ব্যাপারে ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এখনও পর্যন্ত আমাদের অবস্থান একই আছে। আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুধুই মাল্টি-টিম ইভেন্ট খেলব।'
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
২০১৩ সালের পর থেকে ভারত-পাকিস্তান কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি কোনও ফরম্যাটেই। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে শেষবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল লাল বলের ক্রিকেটে। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণেই বাইশ গজে দুই দেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না। আগামী ২৩ অক্টোবর ফের ভারত-পাক হাইভোল্টেজ মহারণ। এশিয়া কাপের পর এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দী দুই দেশ খেলবে। মেলবোর্নে মুখোমুখি হবে রোহিত শর্মা ও বাবর আজমরা। গতবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল ভারত। তবে ১০ উইকেটে লজ্জাজনক ভাবে হেরে গিয়েছিল বিরাট কোহলির দল। ভারত-পাকিস্তান মহারণ মানেই বিশ্ব ক্রিকেট জুড়েই তুমুল আলোড়ন। উত্তেজনার পারদ একেবারে হুহু করে চড়তে থাকে। আর সেই উত্তেজনা বেশ ভালো ভাবেই টের পাওয়া গিয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার মাত্র ১মিনিটের মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়।