MS Dhoni: রাগ তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না! কীভাবে হয়েছে সম্ভব? মন্ত্র শেখালেন খোদ ধোনিই
রাগের মতো ভয়ংকর আবেগ তাঁকে সেভাবে স্পর্শই করতে পারে না মাঠে! কীভাবে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব করেছেন জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তি ক্যাপ্টেন?
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এমএস ধোনি (MS Dhoni), এই নাম উচ্চারণের সঙ্গেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এমন এক মানুষ, যিনি শীতল মস্তিষ্কে বাইশ গজে মহাশত্রুকে বধ করেন অবলীলায়। রাগের মতো ভয়ংকর আবেগ তাঁকে সেভাবে স্পর্শই করতে পারে না মাঠে! কীভাবে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব করেছেন জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তি ক্যাপ্টেন? সম্প্রতি এক ব্যাটারি প্রস্তুতকারক সংস্থার অনুষ্ঠানে গোপন রহস্য ফাঁস করে দিলেন 'ক্যাপ্টেন কুল' (Captain Cool)। সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটার একেবারে রাগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অকপট আলোচনা করলেন।
অনুষ্ঠানের দর্শকদের উদ্দেশ্যে ধোনির প্রশ্ন ছিল, 'আপনাদের কতজনের মনে হয় যে, আপনাদের বস ঠান্ডা মাথার? কয়েক'টি হাত ওপরে উঠেছিল। যাঁরা হাত তুলেছিলেন, তাঁদের ধোনি বলেন, 'আপনারাই হয়তো বস! দেখুন সত্যি বলতে মাঠে যখন থাকি, আমরা কোনও ভুল করতে চাই না। হতে পারে মিসফিল্ডিং বা ড্রপড ক্যাচ, কোনও ভুলই করতে চাই না। যে প্লেয়ার ক্যাচ হাতছাড়া করল, বা ফিল্ডিংয়ে ভুল করল, আমি সবসময় তাদের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে ভাবি, যে রেগে গেলে কোনও সমাধান হবে না। ইতিমধ্যে ৪০ হাজার মানুষ তাদের মাঠে দেখে ফেলেছে। টিভি এবং মোবাইলে আরও কোটি কোটি মানুষ দেখছে। আমি কারণটা খুঁজি। যদি কোনও প্লেয়ার ১০০ শতাংশ মনোযোগী হয় মাঠে এবং সে ক্যাচ ফেলে দেয়, তাহলে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমি এও দেখি যে, সে অনুশীলনে ক'টি ক্যাচ নিয়েছে। কোনও সমস্যা থাকলে সেটায় ফোকাস করি। ক্যাচ হাতছাড়া করায় ফোকাস করে লাভ নেই। হতে পারে আমরা ম্যাচটাই হেরে গেলাম তার ওই ভুলের জন্য। তবুও আমি ওদের জায়গায় নিজেকে নিয়ে গিয়েই ভাবি। '
ধোনি নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গে বলেন, 'দেখুন আমি নিজেও মানুষ। আপনাদের ভিতরে যে অনুভূতি হয়, সেটা আমারও হয়। যদি আপনারা খেলতে যেতেন আপনাদেরও খারাপ লাগত। আমরা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি। আরও খারাপ লাগে। কিন্তু আমরা সবসময় আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। বাইরে বসে বলাটা খুব সহজ যে, আমরা কীভাবে খেললে ভাল হতো! আমরাও যেমন নিজেদের দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছি, প্রতিপক্ষও কিন্তু সেটাই করছে। তারাও খেলতে এসেছে। ওঠানামা থাকবেই।' ধোনি এই অনুষ্ঠানের পরিশেষে বলেছেন, ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সবসময় সমর্থন করা উচিত। কারণ তারা বহু বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করছে। এলিট অ্যাথলিট হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।