Jasprit Bumrah : কেমন চোটে ভুগছেন বুমরা? সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে কতদিন লাগবে? জেনে নিন

Jasprit Bumrah: জসপ্রীত বুমরাকে নিয়ে উদ্বেগ কিছুতেই কমছে না। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এ বার টিম ইন্ডিয়ার তারকা জোরে বোলারের ফিটনেস ইস্যু ও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে মুখ খুললেন হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়।

বুমরার চোট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ফাইল চিত্র

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) পিঠের চোট ও তাঁর মাঠে ফেরা নিয়ে একাধিক জল্পনা চলছেই। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) এক নম্বর জোরে বোলারের চোটের খবর চাউর হওয়ার পর থেকে শোনা যাচ্ছিল তিনি 'স্ট্রেস ফ্র্যাকচার'-র ভুগছেন। এখন শোনা যাচ্ছে  ‘স্ট্রেস ফ্র্যাকচার’ নয়, ‘স্ট্রেস রিঅ্যাকশন’-এ আক্রান্ত বুমরা। বিসিসিআই-এর (BCCI) একটি সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। 

‘স্ট্রেস রিঅ্যাকশন’ অবশ্য ‘স্ট্রেস ফ্র্যাকচার’-এর মতো বড় কোনও আঘাত নয়। সেটাও নাকি শোনা যাচ্ছে। সেই চোট সারিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এমন অবস্থায় তাঁকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে দেখা যেতে পারে কিনা সেটাই দেখার। ফলে অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে বুমরা উঠলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। 

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, 'ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বিসিসিআই মেডিকেল টিমের স্ক্যানে দেখা গেছে যে বুমরার 'স্ট্রেস ফ্র্যাকচার' নয়, বরং একটি ‘স্ট্রেস রিঅ্যাকশন’। 'স্ট্রেস ফ্র্যাকচার' থেকে এই চোট অনেক ছোট। 'স্ট্রেস ফ্র্যাকচার' সারতে ৪-৬ মাস সময় লাগে। সেখানে, ‘স্ট্রেস রিঅ্যাকশন’ থেকে সেরে উঠতে সময় লাগে মাত্র ৪-৬ সপ্তাহ।' 

গত জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডসে একদিনের ম্যাচ খেলার সময় পিঠে চোট পান বুমরা। এরপর তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ফিট না হওয়ার জন্য এশিয়া কাপ (Asia Cup 2022) পর্যন্ত খেলতে পারেননি। কয়েক সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কামব্যাক করেছিলেন বুমরা। তবে প্রথম ম্যাচে তিনি খেলেননি। তখন থেকেই তাঁর চোট নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। বাকি দুটি ম্যাচে খেললেও, তাঁর পারফরম্যান্স মোটেও ভালো ছিল না। গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামা তো অনেক দূরের কথা, দল থেকে সোজা জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (National Cricket Academy) চলে যান তিনি। যদিও টসের সময় রোহিত জানান যে, বুমরার হালকা চোট রয়েছে। তাই তিনি মাঠে নামতে পারেননি। বুমরার বদলে ভারত সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামায় দীপক চাহারকে (Deepak Chahar), যিনি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে না থাকলেও স্ট্যান্ড-বাই হিসেবে রয়েছেন।

এখন শোনা যাচ্ছে বুমরার চোট তো সারেইনি, বরং 'স্ট্রেস ফ্র্যাকচার' বেড়েছে। সেইজন্য এই মুহূর্তে ফের একবার এনসিএ-তে চলে গিয়েছেন বুমরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শুধু ‘স্ট্রেস ইঞ্জুরি’ হলে ছ’সপ্তাহের মধ্যে সেরে যেতে পারে। কিন্তু 'স্ট্রেস ফ্র্যাকচার' হলে ছ’মাসও লাগতে পারে। আবার শিরদাঁড়ার দু’পাশেই ফ্র্যাকচার হলে এক বছরও লেগে যেতে পারে। খুব সতর্ক থাকতে হবে চোট নিয়ে। তাড়াহুড়ো করে মাঠে নামলে ফের চোট লাগার আশঙ্কা থেকেই যাবে। ফলে নিজের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ঝুঁকি নিতে রাজি নন বুমরা। টিম ম্যানেজমেন্টও কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ। 

ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই কোভিডমুক্ত মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) দলে ঢোকার লড়াইতে চলে এসেছেন। এ দিকে চলতি বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন সিরাজ। এর পর থেকে কাউন্টি খেলতে ব্যস্ত ছিলেন এই তরুণ পেসার। এহেন সিরাজ যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচে পারফর্ম করতে পারেন, তাহলে তাঁর সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখন দেখার সিরাজ এই সুযোগ কতটা কাজে লাগাতে পারেন। সঙ্গে আবার জুড়ে আবার দীপক চাহার ও গত আইপিএল-এর আবিষ্কার উমরান মালিকের (Umran Malik) নামও ভেসে উঠছে।  

শুক্রবার সকালে বিসিসিআই বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে বুমরার জায়গায় সিরাজকে নেওয়া হয়েছে। পিঠের চোটে কাবু বুমরাকে বোর্ডের চিকিৎসকরা দেখছেন বলে জানানো হয়। তবে বুমরার যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে গিয়েছে সেটা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এরমধ্যে আবার রাহুল ও সৌরভের মন্ত্যবের পর তাঁর চোট নিয়ে নতুন খবর, গল্পে নতুন টুইস্ট এনে দিল। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের পূর্ব ঘোষিত দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল (সহ-অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, দীপক হুডা, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, অক্ষর প্যাটেল, জাসপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমার, হর্ষল প্যাটেল, অর্শদীপ সিং। স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড়: মহম্মদ শামি, শ্রেয়স আইয়ার, রবি বিষ্ণোই, দীপক চাহার।