Ravi Shastri: 'এই দেশের মানুষ খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যায়'! এখনই দ্রাবিড়ের ভবিষ্যৎ দেখতে পারছেন শাস্ত্রী
Ravi Shastri rates Rahul Dravid's coaching tenure: এক-আধ বছর নয়, পাঁচ বছর ভারতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন রবি শাস্ত্রী। খুব ভালো ভাবে জানেন যে, টিম ইন্ডিয়ার কোচের চাকরি কতটা কঠিন। এবার শাস্ত্রী কথা বললেন তাঁর অভিজ্ঞতা ও দ্রাবিড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনিল কুম্বলের (Anil Kumble) পর কোচ হিসাবে ভারতীয় দলের সঙ্গে মোট দুই দফায় শাস্ত্রী টানা পাঁচ বছরের (২০১৭-২০২১) কেরিয়ার ছিল রীতিমতো তারিফ করার মতো। লাল বলের ক্রিকেটে তাঁর টিম বিশ্বে দাপট দেখিয়েছিল। যদিও সাদা বলের ক্রিকেটে শাস্ত্রীর শিষ্যরা কোনও আইসিসি-র ট্রফি জিততে পারেনি। শাস্ত্রী জামানা শেষ হওয়ার পর এখন বিরাট-রোহিতদের দায়িত্বে আরেক কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে শাস্ত্রী নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। 'দার্শনিক' শাস্ত্রী ক্রিকেটকে দেখেছেন অন্য ভাবে। তিনি বলছেন যে, দ্রাবিড়কে সময় দিতে হবে। রাতারাতি সব হয় না।
৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী বলেছেন, 'কোচ হিসেবে সফল হতে গেলে সময় লাগে। আমার সময় লেগেছে। ওকেও সময় দিতে হবে। কিন্তু রাহুলের একটা অ্যাডভান্টেজ আছে। ও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ছিল। এ দলের সঙ্গে কাজ করেছে। তারপরে ও এখানে এসেছে। সাম্প্রতিক ক্রিকেটার ও ক্রিকেটীয় সিস্টেম নিয়ে ওর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওকে সময় দিন। এই দেশের মানুষ খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যায়। শুধু জিততেই হয়। আমার সময়ে আমরা দু'বার (২০১৬, ২০১৮) এশিয়া কাপ জিতেছি। কিন্তু কেউ মনে রাখেনি। কেউ বলেছে কখনও এশিয়া কাপের কথা? দু'বার জেতার পরেও কেউ কথা বলে না। কিন্তু যখনই এশিয়া কাপে হেরে গেলাম। তখনই এই টুর্নামেন্ট নিয়ে কথা হল। তাই আমি বলি চেষ্টা সবসময় রাখতে হবে। এরকম অনেক সময় হয় যে, সেরা ক্রিকেট না খেলেও জেতা যায়। তবে বিশ্বকাপ জেতার জন্য অত্যন্ত ভাগ্যবান হতে হয়। এরকম খুব কম টিমের ক্ষেত্রেই হয়েছে যে, দিনের দিন সেরাটা না খেলেও তারা বিশ্বকাপ জিতেছে!'
আরও পড়ুন: Virat Kohli: কুম্বলে থাকাকালীনই বিরাট দেন কোচিংয়ের প্রস্তাব! মহারথীর চাঞ্চল্যকর তথ্যে শোরগোল
দ্রাবিড় ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরাদের একজন। ব্যাটিং মায়েস্ত্রো বললে প্রথম পাঁচে তাঁর নামটাই উঠে আসবে। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের কোচ ছিলেন দীর্ঘ দিন। ছিলেন ভারত ‘এ’ দলের কোচও। তাঁর প্রশিক্ষণে তৈরি হয়েছেন ঋষভ পন্থ, আবেশ খান, পৃথ্বী শ, হনুমা বিহারী ও শুভমান গিলের মতো ক্রিকেটাররা। প্রথমে বিরাট-রোহিতদের সংসারে আসার জন্য রাজি ছিলেন না রাহুল। কিন্তু প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও সতীর্থ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ও সচিব জয় শাহ রাহুলকে রাজি করান। শাস্ত্রী চলে যাওয়ার পরেই 'দ্য ওয়াল' দায়িত্ব নেন ভারতীয় দলের।