উদ্বাস্তু শিবির থেকে রিওর মঞ্চ! পদক জয়ের আশায় লোকোরোরা

উদ্বাস্তু শিবির থেকে অলিম্পিকের আঙিনায়। বালির ঝড়, বন্যা, ম্যালেরিয়াকে জয় করে ওঁরা এখন বিশ্ব জয় করতে প্রস্তুত। কেউ ৮০০ মিটার, কেউ বা আবার ১৫০০ মিটারের ট্র্যাকে ঝড় তুলতে তৈরি।

Updated By: Aug 6, 2016, 11:23 AM IST
উদ্বাস্তু শিবির থেকে রিওর মঞ্চ! পদক জয়ের আশায় লোকোরোরা

ওয়েব ডেস্ক : উদ্বাস্তু শিবির থেকে অলিম্পিকের আঙিনায়। বালির ঝড়, বন্যা, ম্যালেরিয়াকে জয় করে ওঁরা এখন বিশ্ব জয় করতে প্রস্তুত। কেউ ৮০০ মিটার, কেউ বা আবার ১৫০০ মিটারের ট্র্যাকে ঝড় তুলতে তৈরি।
এ যেন ঠিক গলি থেকে রাজপথে নেমে পড়ার কাহিনি।

উদ্বাস্তু শিবির থেকে একদম বিশ্ব ক্রীড়ার সেরা ইভেন্টের আঙিনায়। হাঁসফাঁস গরম, বালির ঝড়, বন্যা এবং ম্যালেরিয়ায় বারবার আক্রান্ত হওয়া কেনিয়ার কাকুমা উদ্বাস্তু শিবির এখন পাদপ্রদীপের আলোয়। এই শিবিরের ৫জন উদ্বাস্তু রিও থেকে পদক আনতে একদম কোমর বৈঁধে তৈরি। ১৯৯২-য়ে উত্তর-পশ্চিম কেনিয়ায় গড়ে ওঠে শিবিরটি। প্রথমদিকে সুদানের উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়া হত এখানে। তারপর যত দিন গড়িয়েছে, কেনিয়ার কাকুমা উদ্বাস্তু শিবিরে ভিড় বেড়েছে সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, বুরুন্ডি, দ্য ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, এরিটিয়া, উগান্ডা, রোয়ান্ডা থেকে আসা উদ্বাস্তুদের। বর্তমানে প্রায় দেড় লাখের বেশি উদ্বাস্তুর ঠাঁই এই কাকুমা শিবির।

আরও পড়ুন- বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল রিও অলিম্পিক

দক্ষিণ সুদান থেকে আসা ২৪ বছরের পাওলো আমাতুন লোকোরোর লক্ষ্য অলিম্পিক পদক নিয়ে ফেরা। প্রায় ১০ বছর কাকুমা উদ্বাস্তু শিবিরেই বেড়ে ওঠা। রিওয় ১৫০০ মিটার দৌড়ে নামছেন লোকোরো। লোকোরোর মা মেরি নিশ্চিত, তাঁর ছেলে পদক নিয়েই ফিরবে। উদ্বাস্তু অলিম্পিক দলের অন্য সদস্য ২৩ বছরের রোজ নাথিক লোকোইয়েন। দক্ষিণ সুদানে যুদ্ধের সময় পালিয়ে এসেছিল। তখন লোকোইয়েনের বয়স ছিল মাত্র ১০। রিও অলিম্পিকে ৮০০ মিটারে নামছেন তিনি। অলিম্পিক থেকে ফিরে তাঁদের জীবনটাই বদলে যাবে। আশায় বুক বেঁধেছে লোকোইয়েনের ছোট বোন এবং তিন ভাই। উদ্বাস্তু অ্যাথলিটদের জন্য আলাদা পতাকা। বিশ্বের ১০জন উদ্বাস্তু অ্যাথলিট অংশ নিচ্ছেন এবারের অলিম্পিকে। দলে রয়েছেন দক্ষিণ সুদান থেকে পাঁচজন রানার, সিরিয়ার দুজন সাঁতারু, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর দুজন জুডোকা এবং ইথিওপিয়ার একজন ম্যারাথন রানার। আফ্রিকার কালো মানুষগুলোর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।

.