Jalpaiguri: পাশাপাশি দুই স্কুল তবুও নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, চরম দুর্ভোগ পড়ুয়াদের
রাজগঞ্জের বেলাকোবা লাগোয়া রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বাড়ি সংলগ্নে এই দুই স্কুল। এর মধ্যে পাতিলাভাষা ডিএফপি স্কুল প্রাক প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত এবং তার পাশে রয়েছে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। বতর্মানে এই দুই স্কুল মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় একশো-র উপরে।
প্রদ্যুত দাস: পানীয় জলের সমস্যা। চরম দুর্ভোগে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। পাশাপাশি দুটি বাচ্চাদের স্কুল থাকার সত্বেও কোনও স্কুলেই নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। এর ফলে পড়ুয়াদের জল খেতে কিংবা মিড ডে মিল রান্না করতে রান্নার করা কর্মীদের স্কুলের পাশের বাড়ির কুয়ো থেকে জল তুলে আনতে হয়। দীর্ঘ এক বছর ধরে স্কুলে পানীয় জলের এই সমস্যায় ভুগছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের বেলাকোবা লাগোয়া শিকারপুর অঞ্চলের পাতিলাভাষা বিএফপি স্কুল ও পাতিলাভাষা অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের পড়ুয়ারা।
রাজগঞ্জের বেলাকোবা লাগোয়া রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বাড়ি সংলগ্নে এই দুই স্কুল। এর মধ্যে পাতিলাভাষা ডিএফপি স্কুল প্রাক প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত এবং তার পাশে রয়েছে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। বতর্মানে এই দুই স্কুল মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় একশো-র উপরে।
স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন প্রাইমারি স্কুলে একটি পাম্প কল ছিল কিন্তু মাঝেমধ্যেই সেটি নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক করার পরে দুই দিনও টেকে না, তাই দীর্ঘদিন ধরেই সেটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। আর এর জেরেই জলের সমস্যা চরমে পৌঁছেছে এই দুই স্কুলে। অভিযোগ বার বার বিডিও অফিস, অঞ্চলে জানিয়েও কোনও লাভ হয় নি। কোনও উপায় না পেয়ে স্কুলের পাশের বাড়ির কুয়ো থেকে জল তুলেই চলছে স্কুলে মিড ডে মিল রান্না করার কাজ থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের জল পান করা। জলের সমস্যা এতটাই যে জলের অভাবে স্কুলের বাথরুম পর্যন্ত দুর্গন্ধের কারনে বন্ধ হয়ে আছে বলে জানান পাতিলাভাষা ডিএফপি প্রাইমারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার দাস।
আরও পড়ুন: Mal Bazar: মালবাজার মহকুমাজুড়ে নেশার আসর, ক্ষিপ্ত এলাকার মানুষ
জল নেই তাই মানুষের বাড়ি থেকে জল তুলে এনে মিড ডে মিল রান্না করতে হয় কিছু করার উপায় নেই বলে মন্তব্য করেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের হেল্পার জয়া রায়। তবে এইভাবে কুয়ো থেকে পড়ুয়াদের জল আনায় সরকারি স্কুলে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেই বাড়ির এক কর্তা রাজু মহন্ত। তিনি বলেন, ‘খাওয়া জন্য, বাথরুমের জন্য বাচ্চারা এসে জল নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমার কোনও অসুবিধা নেই কিন্তু এইভাবে করে কুয়ো থেকে জল নেওয়ার তাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে’। অবিলম্বে স্কুলে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবীও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: আরও কমল রাতের তাপমাত্রা, বুধবার শেষ শীতের স্পেল
এদিকে স্কুলে জলের সমস্যার এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কারন ওই এলাকায় সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির। আর অঞ্চল প্রধান, উপ প্রধান তৃণমূলের। জলের সমস্যা নিয়ে অঞ্চলের উপ প্রধান অমলেন্দু ভৌমিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি তোপ দাগেন সংশ্লিষ্ট বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য মাধবী রায়ের উপর।
ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাধবী রায়। তিনি বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষক জলের সমস্যার বিষয়টি আমাকে জানায়, আমি সেই সূত্রেই ওনাকে বিষয়টি অঞ্চলে জানাতে বলেছি। উনি জানিয়েছেন কিন্তু অঞ্চল থেকে এই ঘটনাটি বিডিও অফিসে জানাতে বলে। সেই মতো বিডিও অফিসেও জানানো হয়েছে কিন্তু কোনও লাভ হয় নি। আমিও অনেক বার জানিয়েছি, কিন্তু অঞ্চল থেকে আমি বিরোধী দলের বলে আমার এলাকায় কোনও কাজ করে না’।
স্কুলে জলের সমস্যার কথা অঞ্চলেও একাধিকবার এবং বিডিও অফিসে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পাতিলাভাষা বিএফপি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার দাস।