দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জেনে ফেলেছিল পরিবার, আত্মঘাতী দেওর-বৌদি

কয়েক দিন ধরে  স্বপ্না বাপের বাড়িতে ছিলেন । রবিবার মামা শ্বশুর দীলিপ বিশ্বাস  গিয়ে  স্বপ্নাকে বুঝিয়ে যান,   তিনি যেন তাঁর ছেলের জীবন থেকে সরে গিয়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে  মন দিয়ে সংসার করেন।

Updated By: Dec 18, 2018, 01:22 PM IST
দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জেনে ফেলেছিল পরিবার, আত্মঘাতী দেওর-বৌদি

নিজস্ব প্রতিবেদন:   দেওর ও বৌদির এক সঙ্গে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার।  ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বনগাঁর কুন্দিপুর এলাকায়।

সাত বছর আগে বনগাঁর  কুন্দিপুরের স্বপ্না সাঁতরার বিয়ে হয় গাঁড়াপোতার বাসিন্দা অনুপ বিশ্বাসের সঙ্গে। তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।  স্বামী কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন।  স্বামী বাইরে থাকায় মামা শ্বশুর দীলিপ বিশ্বাসের ছেলে বিজন ওরফে সমরেশ  বিশ্বাসের সঙ্গে  বিবাহ বহির্ভূক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন  স্বপ্না।

আরও পড়ুন: রথযাত্রা নিয়ে আজ বিজেপির আবেদন শুনছে হাইকোর্ট, বুধবার জনস্বার্থ মামলা

কয়েক দিন ধরে  স্বপ্না বাপের বাড়িতে ছিলেন । রবিবার মামা শ্বশুর দীলিপ বিশ্বাস  গিয়ে  স্বপ্নাকে বুঝিয়ে যান,   তিনি যেন তাঁর ছেলের জীবন থেকে সরে গিয়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে  মন দিয়ে সংসার করেন।    দুপুরে চলে গেলেও, ফের রাতে স্বপ্নার বাপের বাড়িতে যান দিলীপ। তিনি আবারও স্বপ্নাকে বোঝান।

স্বপ্নার মায়ের বক্তব্য অনুযায়ী,  রাত তিনটে পর্যন্ত তাঁর পাশেই শুয়ে ছিলেন স্বপ্না। সকালে উঠে মেয়েকে আর বিছানায় দেখতে পান না তিনি। খোঁজ শুরু করেন। বাড়ির পাশে এলাকারই একটি পরিত্যক্ত পোলট্রি ফার্ম দেখে স্বপ্না ও তাঁর দেওর বিজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দুজনেই একটি শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিলেন।

আরও পড়ুন: আপাতত ‘থামল’ রথ, পদযাত্রায় বিকল্প ভাবনা বঙ্গ বিজেপির

পরিবারের দাবি, তাঁদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলাতেই দুজনে আত্মঘাতী হয়েছেন। বনগাঁ  থানার পুলিশ গিয়ে  দুজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। 

.