Abhishek Banerjee: BSF-এর গুলিতে নিহতদের পরিবারের পাশে অভিষেক, কেন্দ্র না দিলে বাড়ি দেবে রাজ্য-ই!
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, 'বাড়িঘর কিছু পাইনি।' যার জবাবে অভিষেক বলেন, 'বাড়ির ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়। আর রাজ্য দেয় ৪০ শতাংশ। কেন্দ্র বাংলার টাকা আটকে রেখেছে। বার বার বলার পরেও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রকে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।'
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'নবজোয়ারে' অভিষেক। পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূলে 'নবজোয়ার'। কোচবিহার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন সকালে প্রথমে বামনহাটের তাঁবুতে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত ২ যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁবুতে অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত ২ যুবকের পরিবার। বিএসএফ-এর গুলিতে প্রেমকুমার বর্মন ও মোফাজ্জল হোসেন নামে ২ যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁবুতে এসে অভিষেকের সঙ্গে এদিন দেখা করলেন প্রেমকুমার বর্মনের পরিবার। দেখা করলেন মোফাজ্জল হোসেনের পরিবারও। তাঁদের সবার সঙ্গেই কথা বলেন অভিষেক। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অভিষেক।
তারপর বামনহাট তাঁবু থেকে বেরিয়ে স্থানীয় মাধাইকাল কালীবাড়ি মন্দিরের উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা হন অভিষেক। সেখানে পুজো দেওয়ার পরই সাহেবগঞ্জের সভায় যোগ দেবেন তিনি। এই মাধাইকাল কালীবাড়ি যাওয়ার সময় গ্রামের পথেই 'জনসংযোগ' সারলেন অভিষেক। কখনও নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে তাঁর কাছে চলে আসা তরুণীর সঙ্গে সেলফি তুললেন। কখনও আবার নিজেই এগিয়ে গেলেন স্থানীয়দের কাছে। তাঁদের অভাব অভিষোগ শুনলেন। তাঁকে হাতের কাছে পেয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, 'বাড়িঘর কিছু পাইনি।' যার জবাবে অভিষেক কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিঁধতে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়লেন না! অভিষেক বলেন, 'বাড়ির ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়। আর রাজ্য দেয় ৪০ শতাংশ। কেন্দ্র বাংলার টাকা আটকে রেখেছে। বার বার বলার পরেও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রকে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।' এরপরই অভিষেকের আশ্বাস, 'কেন্দ্র টাকা না দিলে, বাড়ি করে দেবে রাজ্য সরকার-ই।'
প্রসঙ্গত, অভিষেকের অধিবেশন স্থলে থাকছে, ৩০ ফুট বাই ১০ ফুট চওড়া ও ১৮ ফুট উঁচু ছাউনি। গরম মোকাবিলায় ছাউনিতে পাখা ও কুলার থাকবে। অস্থায়ী শৌচাগারও থাকছে। প্রায় পঞ্চাশের বেশি তাঁবু থাকছে। সব তাবুতেই আলো-পাখার ব্যবস্থা থাকছে। কাঠের পাটাতন থাকছে। তার ওপরে গদি-মাদুর থাকছে। যেখানে অধিবেশন হবে, তা খানিকটা খোলা মঞ্চের মতো। সেখানে প্রায় ১০০০ জনের বসার চেয়ার আছে। অধিবেশন ও ভোট শেষ হওয়ার পর, সেখানেই খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকবে। নিরামিষ খাওয়ার বন্দোবস্ত থাকবে।
প্রসঙ্গত, সোমবারই কোচবিহার গিয়ে পৌঁছেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কোচবিহারে পৌঁছে হেলিপ্যাড থেকে পায়ে হেঁটে মদনমোদন মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন তিনি। কোচবিহারে পা দিয়েই অভিষেক বলেন, 'কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ একটাই বঙ্গ, সেটা পশ্চিমবঙ্গ'। তাঁর কথায়, 'বাংলায় কিছু রাজনৈতিক দল আছে, যাঁরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিভিন্ন জেলা, বিশেষ করে যে শব্দবন্ধ ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গ, আমি এই শব্দবন্ধটার ঘোর বিরোধী। আমি বলছি, বাংলায় গৌড়বঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ বলে কিছু নেই। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ একটাই বঙ্গ, সেটা পশ্চিমবঙ্গ'।
শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগেই অভিষেকের এই জনসংযোগ কর্মসূচি। কাকে প্রার্থী চান? গোপন ব্যালটে এবার মতামত জানাবেন সাধারণ মানুষই। মানুষের কাছ থেকে সরাসরি সেই নাম জেনে নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মঙ্গলবার কোচবিহারে ৪টি জনসভা রয়েছে অভিষেকের। যার প্রথমটি দিনহাটার সাহেবগঞ্জে। তারপর সিতাইয়ের গোসাইমারি ও শীতলকুচিতে জনসভা করবেন অভিষেক। শেষে মাথাভাঙায় গ্রামবাংলার মতামত কর্মসূচি।