৫ দিনের লড়াই শেষ, ঘুটিয়ারি শরিফে বিস্ফোরণে জখম শিশুর মৃত্যু হাসপাতালে

গত মঙ্গলবারই ঘটে বিপত্তি বোমাকে বল ভেবে, তা নিয়েই খেলা করছিল কয়েকজন শিশু। সেইসময়ই হাতে ফেটে যায় বোমা। বিস্ফোরণের জেরে গুরুতর আহত হয় ৩ শিশু। 

Updated By: Feb 23, 2020, 01:45 PM IST
৫ দিনের লড়াই শেষ, ঘুটিয়ারি শরিফে বিস্ফোরণে জখম শিশুর মৃত্যু হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদন: ৫ দিনের লড়াই শেষ। ঘুটিয়ারি শরিফে বিস্ফোরণে জখম এক শিশুর মৃত্যু হাসপাতালে। গতকাল রাত থেকে জুলফিকারের শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। স্যালাইনের চ্যানেল করার জন্য হাতে মাংস খুঁজে পাচ্ছিলেন না ডাক্তাররা। রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। একজন শিশু এখনও চিত্তরঞ্জনে ভর্তি। আরেকজন গত ১৯ তারিখ থেকে এসএসকেএমে ভর্তি। জুলফিকারের বাবার অভিযোগ, পার্টির নাম করে কিছু দুষ্কৃতী বাড়িতে বোমা রেখে যায়। ছেলেকে হারিয়ে তারই মাসুল দিতে হল। 

গত মঙ্গলবারই ঘটে বিপত্তি বোমাকে বল ভেবে, তা নিয়েই খেলা করছিল কয়েকজন শিশু। সেইসময়ই হাতে ফেটে যায় বোমা। বিস্ফোরণের গুরুতর জখম হয় রোহিত শেখ, মোহিত শেখ ও জুলফিকার লে। প্রত্যেকের বয়স দশের মধ্যে। বিস্ফোরণে তিন শিশুর শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার ঘুটিয়ারি শরিফের। এই ঘটনায় যুব তৃণমূল কর্মী সাত্তার হালদার ও রেজ্জাক শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। রেজ্জাককে গ্রেফতার করেছে পুলিসে। 

আরও পড়ুন: চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, আটক ষাটোর্ধ্ব গৃহশিক্ষক

অভিযোগ, ঘুটিয়া শরিফ এলাকার বাসিন্দা ছাত্তার হালদার বেশ কিছু বোমা বানায়। বোমা বানিয়ে রোদে শুকাতে দেয় সেগুলি। আর অজান্তে সেই বোমা নিয়েই খেলতে থাকে ছোট ছোট শিশুরা। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে গুরুতর আহত হয়েছে তিন শিশু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের তড়িঘড়ি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে, দুই শিশুকে সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তিত করে দেন চিকিৎসক। 

.