Bagtui Massacre: সিবিআই ক্যাম্পে উদ্ধার বগটুইকাণ্ডে অভিযুক্ত লালন শেখের বিবস্ত্র ঝুলন্ত দেহ
বগটুইয়ে ভাদু শেখের মৃত্যুর পর যে পাল্টা হামলা ও ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে তাতে মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে মনে করা হচ্ছে। আজ সিবিআইয়ের তরফে জেলা পুলিসকে ঘটনাটিকে সুইসাইডাল হ্যাংগিং বলে জানানো হয়েছে।
প্রসেনজিত্ মালাকার: বীরভূমের বগটুই হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হল সিবিআই হেফজতে। গত ৪ ডিসেম্বর ধরা পড়ার পর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের ক্যাম্পই রাখা হয়েছিল লালনকে। সেখানেই আজ তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বগটুইয়ে ভাদু শেখের মৃত্যুর পর যে পাল্টা হামলা ও ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে তাতে লালনকেই মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ভাদুর ছায়াসঙ্গী ছিল লালন শেখ। আজ সিবিআইয়ের তরফে জেলা পুলিসকে ঘটনাটিকে সুইসাইডাল হ্যাংগিং বলে জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সিবিআইয়ের পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাবে বলে মনে করছেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন প্রধান উপেন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-'মর্নিং ওয়াকে গিয়ে মন্তব্য করি না', বেনামে দিলীপকেই আক্রমণ শুভেন্দুর!
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ বগটুইটের প্রাক্তন উপপ্রধান ভাদু শেখকে কেউ বা কারা গুলি করে হত্যা করে। সেই ঘটনার পাল্টা হিসেবে বগটুই গ্রামে হামলা চালায় একটি সশস্ত্র দল। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ভাদু শেখের বিরোধী পক্ষের লোকজনের বাড়িঘর। এতে জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। সেই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে মনে করা হয় লালন শেখকে। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল লালন। গত ৪ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গোপনসূত্রে সিবিআইয়ের কাছে খবর ছিল ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের একটি গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে। সেখান থেকে তাকে তুলে এনে রামপুরহাটের বাইরে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখে সিবিআই। সেখানেই তাকে জেরা করা হচ্ছিল। সেখানেই আজ তার বিবস্ত্র অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জেলা পুলিসকে জানানো হয় লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিস। সিবিআইয়ের নজরজদারির মধ্যে কীভাবে এমন মৃত্যু তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এক্ষেত্রে সিবিআইয়ের নজরদারিতে কোনও খামতি ছিল? এনিয়ে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এরকম একটি ঘটনার তদন্ত করেছিলাম। আসলে এতদূর থেকে কোনও কিছু বোঝা সম্ভব নয়। নজরদারি থাকলেও অনেককিছু হয়ে থাকে। এতে তদন্তে নিশ্চিতভাবেই প্রভাব পড়বে। তবে বলা যেতে পারে নজরদারিতে গলতি ছিল। তাই এর দ্রুত তদন্ত করা উচিত।
এদিকে, লালন শেখের মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়তেই এনিয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এনিয়ে বলেন, সিবিআই হেফাজতে একটি মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। বগটুইয়ের ঘটনার সঙ্গে লালনের নাম জড়িয়েছিল। সিবিআই হেফাজতে মারা গিয়েছে। কীভাবে মারা গেল? এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। এটা কি কোনও স্বাভাবিক মৃত্যু? নাকি তদন্তকে প্রভাবিত করার জন্য কিছু হয়েছে? যারা কথায় কথায় পুলিস নিয়ে কথা বলেন তাদের এবার সিবিআই নিয়েও কথা বলতে হবে। সিবিআইয়ের উপরে আমাদের আস্থা রয়েছে। কিন্তু সিবিআইকে যখন বিজেপি ব্যবহার করে তখন তো প্রশ্ন উঠবেই।