Bangladesh: উত্তাল সমুদ্রে ট্রলার ডুবে মৃত ২ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী, মাঝ সাগরেই ভাসিয়ে দেওয়া হল দেহ
দুদিনে একটি কাঁচা লাউ খেয়েছেন ভাগ করে কেউ আবার জল খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন। তবে এত চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হয়নি। ১৯ জনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। অবশেষে দুজনকে মাঝ সমুদ্রে উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হন মৎস্যজীবীরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টানা দু-দিন অর্থাৎ ৪৮ ঘন্টা উত্তাল সমুদ্রের জলের সঙ্গে লড়াই করেও প্রাণ রক্ষা হল না। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের জলে ছেড়ে দিতে হল দুই সঙ্গীকে। সেই আক্ষেপ থেকেই গেল তাদের বাংলাদেশের মৎস্যজীবী সহকর্মীদের। গত ১৫ ই অগস্ট বাংলাদেশের পাথরঘাটা থেকে তারা গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেন এফবি ভাই ভাই ট্রলারে। বাংলাদেশের বারগ্রুনা জেলার ১৯ জন মৎস্যজীবী রওনা দেন। ১৬ তারিখ মাছ ধরছেন তারা। পরের দিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ট্রলারটি নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখান থেকেই জল ঢুকতে থাকে ট্রলারের নিচের অংশে। জীবন বাঁচাতে লাইফ জ্যাকেট ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে নিজেদের বাঁচার তাগিতে ভেলা তৈরি করেন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীরা। ভেলা সম্বল করে দুদিন এবং দুই রাত কেটেছে উত্তাল সমুদ্রে।
আরও পড়ুন, Weather Report: বৃষ্টি কমতেই ভ্যাপসা গরম শহরে, বাড়ল তাপমাত্রাও
দুদিনে একটি কাঁচা লাউ খেয়েছেন ভাগ করে কেউ আবার জল খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন। তবে এত চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হয়নি। ১৯ জনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। অবশেষে দুজনকে মাঝ সমুদ্রে উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হন মৎস্যজীবীরা। রবিবার সুন্দরবনের কালিবাড়ি দ্বীপে তারা আশ্রয় নেয়। সেখানে আবার বাঘের ভয়। তাই রাত কাটে জঙ্গলের গাছের উপর। বেলা ১২ টা নাগাদ একটি কাঁকড়া ধরার নৌকো দেখতে পান তারা। সেখানেই সাহায্যের জন্য আবেদন জানান। মইপিঠের কাঁকড়া ধরার নৌকা করে ১৭ জন বাংলাদেশীকে নিয়ে আসা হয় মইপিট কোস্টাল থানায়। সেখানে বেশ কয়েকজনের শারীরিক অসুস্থতা লক্ষ্য করেন পুলিস আধিকারিক মধুসূদন পাল। তৎক্ষণাৎ রাত্রি বারোটা নাগাদ পাঠানো হয় জয়নগর কুলতলী গ্রামীণ হাসপাতালে।
পরে প্রত্যেকের থাকার জন্য ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করেছেন প্রশাসন।তাদের পক্ষ থেকে তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু তাদের আক্ষেপ দুই সঙ্গীকে তারা বাঁচাতে পারলেন না। এখনও ছেড়ে আসা ২ সঙ্গীর কথা বলতে গিয়ে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসছে মৎসজীবীদের। তারা ভাবতেই পারছেন না তারা বেঁচে আছেন। উল্লেখ্য, গত ৩৬ ঘন্টায় গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীর ট্রলার ছোট নৌকো ও ভারতীয় নৌসেনা উদ্ধার করেছে মোট ১০৪ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী।
আরও পড়ুন, Anubrata Mondal: ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু! অনুব্রতর সম্পত্তি সন্ধানে আত্মীয়ের রাইস মিলে সিবিআই হানা