Bhangar Panchayat Violence: মৃত্যু ভাঙড়ের তৃণমূলকর্মীর! 'দায়ী আইএসএফ' অভিযোগ শওকত মোল্লার, অভিযোগ অস্বীকার নওশাদের
Bhangar Panchayat Violence: ভোটের আগের দিন সাত জুলাই ভাঙড়ে আহত তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু। বাড়ি ফেরার পথে বন্দুকের বাঁট, লাঠি দিয়ে মারধরে আহত হন ওই তৃণমূল কর্মী। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিক বলেন, ব্যথিত আমি। যা হচ্ছে, বিরোধীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অয়ন ঘোষাল: ভাঙড়ে ফের ভোটের বলি। মৃত্যু তৃণমূলকর্মীর। আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার আইএসএফ নেতৃত্বের। আজ, শনিবার শওকত মোল্লা বলেন, হাসপাতলে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূলকর্মীর। গত ৭ জুলাই তিনি আহত হয়েছিলেন। বোমাবাজিতে আহত হন বুথ সভাপতি শেখ মোসলেম। রড ও বন্দুকের বাট দিয়ে বিরোধীরা তাঁকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। ৯ তারিখে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই ঘটনার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার আইএসএফের।
আরও পড়ুন: Panchayat Violence: ভোট পরবর্তী অশান্তিতে গুলি বাসন্তীতে! জখম ১ তৃণমূল কর্মী
আইএসএফ নেতা শামসুর মাস্টার বলেন, যেখানে সেখানে আইএসএফকে দায়ী করা হচ্ছে, কোণঠাসা করা হচ্ছে, এটা একটা নতুন ট্রেন্ড। আর সমস্ত ঘটনা শুনে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিক বলেন, ব্যথিত আমি। যা হচ্ছে, বিরোধীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পারিবারিক শত্রুতা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকেই, সবটাই রাজনৈতিক ভাবে চালিয়ে দেওয়া হয়। নানাভাবে আইএসএফকে রুখে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের স্বল্প ক্ষমতায় কয়েকটি জিতেছি। তাতেই ওদের ঈর্ষা হচ্ছে।
রাজ্যে ফের ভোটের বলি। ভোটের আগের দিন ৭ জুলাই ভাঙড়ের আহত তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হল এদিন। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় আহত ব্যক্তির। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটের আগের দিন ৭ জুলাই বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা রড ও বন্ধুকের বাট দিয়ে রাস্তায় ফেলে মোসলেম শেখকে ব্যাপক মারধর করে। তারপর থেকেই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মোসলেম।
শনিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মারধরের ওঠে আইএসএফ-এর দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। ভাঙড়ে ভোটের আগের দিন লাঠি, বাঁশ দিয়ে ষাটোত্তীর্ণ তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিকে বেদম মারে ৫০ থেকে ৬০ জন। শনিবার সকালে বাইপাস লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। নিজে যে বুথের সভাপতি, সেই ভাঙর ২ এর ভোগালিতে ভোটের আগের রাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ভাইপো শেখ ইমদাদুলকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে বেরিয়েছিলেন ৬২ বছরের শেখ মোসলেম।
আরও পড়ুন: Panchayat Violence: ভোটের পর অশান্ত ক্যানিং, তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন! অভিযোগ ISF-এর বিরুদ্ধে
হঠাৎ মাঠের পাশে একটি নির্জন জায়গায় লুকিয়ে থাকা জনা ৫০ ছেলে তাদের ঘিরে ধরে। নির্বিচারে প্রহার শুরু হয়। একা পড়ে যায় ইমদাদুল। কাকাকে বাঁচাতে আরও লোকের সাহায্য দরকার। তাই দৌড়ে বাড়ি ফেরে। সবাই মিলে মিনিট দশেক পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ লাগোয়া পুকুরের ধারে একটি ঝোপের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন শেখ মোসলেম। কলকাতা ও ভাঙড়ের একাধিক হাসপাতাল ঘুরে শেষ পর্যন্ত তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাস লাগোয়া এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় তার মৃত্যু হয়।