Birbhum: সাধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য বীরভূমে
দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূমের পুরন্দরপুর বেহেরাকলি তলায় মন্দিরে থাকতেন এক সাধুবাবা। তার নাম ভুবন মন্ডল। তার আসল বাড়ি পাঁচড়া এলাকায়।
প্রসেনজিৎ মালাকার: সাধুবাবার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। গ্রামবাসীদের অভিযোগ খুন করা হয়েছে। যদিও সুসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে খবর পুলিস সূত্রে।
দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূমের পুরন্দরপুর বেহেরাকালি তলায় মন্দিরে থাকতেন এক সাধুবাবা। তার নাম ভুবন মন্ডল। তার আসল বাড়ি পাঁচড়া এলাকায়। দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে এই মন্দিরেই থাকতেন তিনি। এই আট থেকে দশ দিন তিনি ছিলেন না, শনিবারই ফিরেছিলেন তিনি মন্দিরে। এরপরেই রবিবার সকালে মন্দির থেকে একটু দূরেই একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এলাকাবাসীর দাবি, রবিবার ভোরের দিকে এই সাধুবাবা ফেরেন। ভোর ৫টা নাগাদ তাঁর সঙ্গে কয়েকজনের দেখাও হয়। এরপরেই তাঁর মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায় সকাল ৭টা নাগাদ। পুলিস সূত্রে খবর সাধুবাবার ব্যাগ থেকে একটি বাংলায় লেখা সুসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে।
মৃতদেহ দেখার পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পরে এলাকার মানুষ। বেশ কিছুক্ষন বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। পুলিসকে দেহ নামাতেও বাধা দেয় তারা। যদিও পরে দেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠায় পুলিস। এলাকাবাসির দাবি এই সাধুবাবাকে খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: রবিবার ভোরে অবশেষে ভিজল কলকাতা, তাপমাত্রা কমবে রাজ্যে
তাদের বক্তব্য সম্প্রতি চার মাস ধরে এই মন্দিরে থাকতেন এক সাধুমা ও মন্দির কমিটির সেক্রেটারি কল্যাণ ব্যানার্জী এই দুজন খুন করেছে। দুজন দীর্ঘদিন ধরেই অসামাজিক কাজ কর্ম করতো বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এমনই কিছু সাধু বাবা দেখে ফেলেছিল তাই এমন ঘটনা বলে দাবি তাঁদের।
গ্রামবাসীদের আরও দাবি যে, সাধু বাবা বাংলায় লিখতে পারতেন না। যে সুসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে সেটা তাঁর নয়।
অন্যেদিকে ঘটনার পর মন্দির কমিটির সেক্রেটারি কল্যাণ ব্যানার্জী ও সাধুমা কে আটক করেছে পুলিস। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।