Chandrakona: 'বাঁশ দিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে ঠ্যাং', প্রকাশ্যে হুমকি বিজেপি নেতার
শ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায়, সোমবার বিকেলে বিজেপির দক্ষিণ মন্ডলের উদ্যোগে চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুর, বিজেপির একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। এদিনের মিছিল শেষে মাইক হাতে নিয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে এমনই বললেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রামকুমার দে। যদিও বিজেপি নেতাদের এহেন বক্তব্যকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।
চম্পক দত্ত: ভোট লুট করতে এলে বাঁশ দিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে ঠ্যাং, এমন কি ভোট বাক্স ফেলে দেওয়া হবে পুকুরের জলে, প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই হুমকি দিলেন বিজেপি নেতা।
‘এখন আমাদের ১৮টা এমপি ৭৭টা এমএলএ, ৩৮ শতাংশ ভোট আছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাঁচা বাঁশ সঙ্গে থাকবে, আত্মরক্ষার অধিকার মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে যদি আসো উপদ্রব করো হসপিটালের একটা বেডও খালি রাখবো না, ঠ্যাং ভেঙ্গে হসপিটালে বসিয়ে দেবো বন্ধু’। তিনি আরও বলেন, ‘কারণ ভেবোনা সেই দুর্বল বিজেপি ১৮ সালের, আর পাবে না। এখন সশস্ত্র বিজেপি, আমাদের নেতা নরেন্দ্র মোদী, আমাদের নেতা অমিত শাহ, আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ আছে। যারা এক পা পিছাতে জানে না। আর যদি মনে কর ছাপ্পা মারবো বুথ দখল করবো তাহলে আমাদের কর্মীরাও ভোট বাক্স পুকুরের জলে ফেলে দেবে, আর একটা বুথ দখল করতে এলেও, ভোট বাক্স সব পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হবে’।
ওই নেতা হুমকি দিয়ে আরও বলেন, ‘আর কোনও নেতা যদি ভোট চুরি করতে আসে তারা গোটা পায়ে এলে ভাঙ্গা পায়ে যেন যায়’। দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এমনই বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা রামকুমার দে।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: BSF-এর গুলিতে নিহতদের পরিবারের পাশে অভিষেক, কেন্দ্র না দিলে বাড়ি দেবে রাজ্য-ই!
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায়, সোমবার বিকেলে বিজেপির দক্ষিণ মন্ডলের উদ্যোগে চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুর, বিজেপির একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। এদিনের এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস, ঘাটালের বিধায়ক শীতল কপাট, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি, রামকুমার দে।
আরও পড়ুন: Canning: কল আছে জল নেই, বারবার বলেও সমাধান করেনি প্রশাসন
এদিনের মিছিল শেষে মাইক হাতে নিয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে এমনই বললেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রামকুমার দে। যদিও বিজেপি নেতাদের এহেন বক্তব্যকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। এই বিষয়ে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শঙ্কর ঘোষ।