নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করছেন হুমায়ুন কবীর
বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বৃহস্পতিবার সেটিতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির সঙ্গে পাকাপাকিভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করতে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। বিজেপি ও হুমায়ুনের মধ্যে বিচ্ছেদের কারণ- নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। হুমায়ুন কবীরের কথায়,''নাগরিকত্ব বিল মানুষের স্বার্থের উপরে খাঁড়ার আঘাত। বিজেপিতে আর থাকব না।''
বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বৃহস্পতিবার সেটিতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ইতিমধ্যেই বিলটির বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। রাস্তায় নেমে চলছে প্রতিবাদ। উত্তাল অসম ও ত্রিপুরা। এর মধ্যেই নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় বিদ্রোহ করে বসলেন বাংলার এক বিজেপি নেতা। হুমায়ুন কবীরকে এখনই তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তবে বিজেপির উপর থেকে মন উঠে গিয়েছে হুমায়ুনের। তিনি জানিয়েছেন, যে দলেই থেকেছি ভালবাসা দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের মানুষ। পাশে থেকেছেন। কিন্তু নাগরিকত্ব বিল মানুষের স্বার্থের উপরে খাঁড়ার আঘাত। আর বিজেপিতে থাকছি না।
হুমায়ুনের দলত্যাগের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ। তাঁর কথায়,''এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে উনি বিজেপিকে বুঝতে পারেননি।''হুমায়ুনের বক্তব্য,''মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারব না।''
একটা সময়ে মুর্শিদাবাদে অধীররঞ্জন চৌধুরীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন হুমায়ুন কবীর। তবে পরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। তৃণমূলে যোগ দেন হুমায়ুন। তাঁকে মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলেও বেশিদিন টিকতে পারেননি। ফিরে যান কংগ্রেসে। তারপর আবার দলবদল করে নাম লেখান বিজেপিতে। লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে প্রার্থীও হন হুমায়ুন কবীর। তৃতীয় হলেও মুর্শিদাবাদের মতো কেন্দ্রে আড়াই লক্ষের কাছাকাছি ভোট পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- 'NRC-CAB এনে সেকুলার থেকে হিন্দু রাষ্ট্র করার চেষ্টা,'প্রতিবাদের ডাক বামেদের