গোয়ার মতো দিঘাও হবে গোটা বিশ্বের গন্তব্য, বললেন মমতা
মঙ্গলবার দিঘায় সরকারি উদ্যোগে তৈরি করা হল কনভেনশন সেন্টার ‘দিঘাশ্রী’।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাঁর স্বপ্ন দিঘা কেবল পর্যটকদের ঠিকানা হয়ে থাকবে না। ঠিকানা হবে দেশ-বিদেশের নামিদামি সংস্থাগুলিরও। গোয়ার মতো তারাও দিঘাতে আসবে বাণিজ্যিক সম্মেলন করতে। তাই ‘ডেসটিনেশন দিঘা’প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে তত্পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিঘায় সরকারি উদ্যোগে তৈরি করা হল কনভেনশন সেন্টার ‘দিঘাশ্রী’। এদিন তা উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “গোয়াতে যেমন বিভিন্ন দেশি বিদেশি সংস্থা তাদের বিজনেস মিটিং করতে আসে, এখানেও তাই হবে।”দিঘার কনভেনশন সেন্টারে হতে পারে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার সম্মেলন, বৈঠক।
পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে দিঘাকে আরও উন্নত করতে নানা পদক্ষেপ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
১. এই জায়গাকে আরও জনপ্রিয় করে গড়ে তুলতে তৈরি করা হচ্ছে অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত হোটেল।
২. এছাড়াও প্রতিদিন কলকাতা থেকে দিঘা পর্যন্ত হেলিকপ্টার পরিষেবাও চালু করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
৩. ৭ কিলোমিটার মেরিন ব্রিজ তৈরি হচ্ছে দিঘায়।
৪. পুরির মতো জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হচ্ছে এখানে।
৫. এছাড়াও সিপ্লেন নামানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিচের ধারে যাতে কোনও হকার জোর করে বসতে না পারেন, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। হকারদের জন্য আলাদা স্টল করে দিতে বলেন তিনি। এছাড়াও এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার সতর্ক করে দেন, আন্দোলনের নামে কোনওরকমের ‘ব্ল্যাকমেলিং’বরদাস্ত করবেন না তিনি। দিঘায় যাতে পর্যটকরা এসে বিরক্ত না হন, তার দিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনকে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন দার্জিলিঙের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “দার্জিলিং নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ওখানে শুধুই বিক্ষোভ, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও মানসিকতা। এইভাবে তো আর উন্নয়ন হয় না।”গত বছরের তুলনায় রাজ্যে ৩৪.০১ শতাংশ পর্যটক বেড়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমি এখনও মনে করি, বেঙ্গল ইজ দ্য সেফেস্ট প্লেস ফর ইন্ডাস্ট্রি। এখানে আমি ধর্মঘট হতে দিই না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে আমাদের। তবুও তাদের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে সামিল হই না আমরা।”নাম না করে বিজেপিকে এদিন আরও একবার কটাক্ষ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই যে যারা মাথায় ফেট্টি বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছ, তাদের আবারও বলে রাখি, আগুন নিয়ে খেলো না।”