নীতিহীন বিজেপির বনধ ব্যর্থ করেছে রাজ্যের মানুষই: মুখ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সর্বনাশা বনধ বাংলায় কিছুতেই চলবে না। বাংলার মানুষ এখন আর বনধকে সমর্থন করে না। মানুষই বনধ ব্যর্থ করেছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘হিংসা ছাড়া বিজেপির কিছুই করার নেই। বিজেপির নীতি বলে কিছু নেই।’ বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধে প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
লগ্নির খোঁজে মিলানে মুখ্যমন্ত্রী। তবুও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। যেভাবে বুধবার বিজেপির বনধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক সরকারি বাসে ভাঙচুর হয়েছে, তার কড়া নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সর্বনাশা বনধ বাংলায় কিছুতেই চলবে না। বাংলার মানুষ এখন আর বনধকে সমর্থন করে না। মানুষই বনধ ব্যর্থ করেছে।’
বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘বিজেপির নীতি বলে কিছু নেই। ওরা শুধু হিংসাই ছড়াতে পারে। বাংলার মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বাইরে থেকে গুণ্ডা এনে আমাদের রাজ্যে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। ওরাই আমার দুই প্রিয় ছাত্রকে খুন করেছে। আবার দোষ ঢাকতে নিজেরাই অশান্তি ছড়াচ্ছে।’
বুধবারের বিজেপির বনধ যে ব্যর্থ, তা সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্কুল কলেজগুলি ভালো ভাবে চলছে। সরকারি অফিসগুলিতেও উপস্থিতির হার ৯৫ শতাংশ।’ রাস্তায় মানুষের উপস্থিতিই বুঝিয়ে দিয়েছে বনধ ব্যর্থ।
অন্যদিকে, বনধ সফল বলে ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, রাজ্যের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধ পালন করেছেন। রাজ্যের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনিও। তবে এক্ষেত্রেও তাঁর পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, দিলীপ ঘোষের দাবি, তৃণমূল কর্মীরাই নাকি অশান্তি ছড়ানোর জন্য সরকারি বাসে আগুন ধরিয়েছেন!