Anubrata Property: গত ৪ বছরে বোলপুর এলাকায় অনুব্রত কিনেছেন বিপুল জমি, বলছে সরকারি নথি
অভিযোগ উঠেছে বাড়ি, ফ্ল্য়াট, মল, দোকান তৈরির জন্য় খোদ পুরসভার তরফ থেকে নেওয়া হতো ডোনেশন। সেই টাকা ঘুরপথে গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। এমন অভিযোগ করেছে বিজেপি
প্রসেনজিত্ মালাকার: গোরুপাচারের টাকা কোথায় গিয়েছে তা খুঁজতে গিয়ে হয়রান সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থায় আশঙ্কা অনুব্রতর নামে বেনামে রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। বীরভূম জেলা সভাপতি জেলে য়াওয়ার পরই একের পর একসম্পত্তির হদিস পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। কখনও তা অনুব্রত মণ্ডলের নামে। কখনও সম্পত্তি রয়েছে তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের নামে। অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয়-স্বজনদের সম্পত্তির পরিমাণও কম নয়। সবকিছুই এখন রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রেডারে। এরমধ্যে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সরকারি রেকর্ড থেকে। বোলপুর এলাকার খোসকদমপুর , কালিকাপুর , গয়েশপুর মৌচা-সহ বিভিন্ন এলাকায় গত ৪ বছরে বিপুল পরিমাণ জমি নিজের নামে কিনেছেন অনুব্রত মণ্ডল। ওই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি সত্যিই চক্ষু চরক গাছ করতে পারে সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন-এক পলকেই ধূলিসাত্ নয়ডার ৪০ তলা টুইন টাওয়ার
মাছ ব্যবসায়ী অনুব্রত মণ্ডল জীবনের শুরুর পর থেকে এত জমি কেনার টাকা এল কোথা থেকে? এখন এনিয়েই ধন্দে রয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। তবে, গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা এভাবেই ইনভেস্ট হয়েছে, মনে করছে আধিকারিকরা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা ও তাঁর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে বল্লভপুর, মকরমপুর, গয়েশপুর, খোসকদমপুর ও কালিকাপুর মৌজা এলাকায় একাধিক জমি রয়েছে। পাশাপাশি গয়েশপুর মৌজায় ১৬টি জমি, বোলপুর মৌজায় ৪টি এবং খোশকদমপুর মৌজায় ২টি জমি অনুব্রতের নিজের নামে রয়েছে বলেও সরকারি সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, ওইসব জমি ২০২১ সালে কেনা হয়েছে। এ ছাড়াও গয়েশপুর মৌজায় ২০১৮ সালে ১টি, ২০১৯ সালে ২টি জমি এবং ২০১৭ সালে ৩টি জমি কেনা হয়। সব মিলিয়ে ২০১৭ থেকে ’২১ সালের মধ্যে তৃণমূলের জেলা সভাপতির নামে প্রায় ২৪০ কাঠা জমি কেনা হয়েছে বলে সরকারি তথ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, যে এলাকায় এই সকল জমি রয়েছে।। সেই এলাকাগুলিতে এই মুহূর্তে কেনাবেচা করতে গেলে জমির দাম কোটি কোটি টাকা। কিন্তু যে দামে ওইসব জমি কেনা হয়েছে তাতেও প্রভাব খাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে বাড়ি, ফ্ল্য়াট, মল, দোকান তৈরির জন্য় খোদ পুরসভার তরফ থেকে নেওয়া হতো ডোনেশন। সেই টাকা ঘুরপথে গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। এমন অভিযোগ করেছে বিজেপি। দাবি, কাঠাপ্রতি ২ লাখ টাকা ডোনেশন হিসেবে নেওয়া হতো। এনিয়ে বিজেপির বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ ঘোষ বলেন, যে শাসকদল শাসন করছে তাদের লক্ষ্যই হল তোলাবাজি করা, লুট করা। অবৈধ কাজ যেসব হচ্ছে সেই কাজকে সমর্থন করা। কেন্দ্রের মোদীজি রয়েছেন। আগামী দিনে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।