Bolpur Municipality: বোলপুর পুরসভায় ফ্ল্যাট-মল-দোকানের জন্য 'ডোনেশন', ঘুরপথে টাকা যেতে কেষ্টর কাছে!
গুরুতর ওই অভিযোগ নিয়ে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ ঘোষ বলেন, যে শাসক দল শাসন করছে তাদের লক্ষ্যই হল তোলাবাজি করা, লুট করা। অবৈধ কাজ যেসব হচ্ছে সেই কাজকে সমর্থন করা। কেন্দ্রের মোদীজি রয়েছেন। আগামী দিনে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
![Bolpur Municipality: বোলপুর পুরসভায় ফ্ল্যাট-মল-দোকানের জন্য 'ডোনেশন', ঘুরপথে টাকা যেতে কেষ্টর কাছে! Bolpur Municipality: বোলপুর পুরসভায় ফ্ল্যাট-মল-দোকানের জন্য 'ডোনেশন', ঘুরপথে টাকা যেতে কেষ্টর কাছে!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/28/387346-3.png)
প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডলের জেলযাত্রার পর বেরিয়ে আসছে তাঁর বেনামে থাকা একাধিক সম্পত্তির হদিস। পাশাপাশি বোলপুরসভার বিরুদ্ধেও উঠছে গুরুতর অভিযোগ। ফ্ল্যাট, শপিং মল, দোকানের জন্য টাকা নেওয়া হত বলে অভিযোগ উঠছে পুরসভার বিরুদ্ধে। 'ডোনেশন' হিসেবে নেওয়া ওই টাকার পরিমাণ ছিল কাঠাপিছু ২ লাখ। সেই টাকা ঘুরপথে যেত অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। এমনটাই অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। বিরোধী পক্ষের অভিযোগ, ডেভলপমেন্টের নাম করে নেওয়া হচ্ছে ডোনেশন। আর তার নাম করেই করা হচ্ছে তোলাবাজি। দ্রুত বাড়ছে বোলপুর পুরসভা। স্বভাবতই সেখানে তৈরি হচ্ছে বহু বাড়িঘর। তার জন্য নিতে হচ্ছে পুরসভার অনুমতি। এর জন্য সরকারিভাবে টাকা নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ডোনেশন হিসেবে নেওয়া হচ্ছে কাঠাপ্রতি ২ লাখ টাকা। ফলে কারও যদি ৫ কাঠা জমি থাকে তাহলে তার কাছ নেওয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা। এমনটাই অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন-পার্থর টাকার ৭৫ ভাগ গেছে পিসি ভাইপোর কাছে, ২৫ ভাগ অপা সিন্ডিকেটের, বিস্ফোরক শুভেন্দু
প্রশ্ন উঠছে কিসের ডোনেশন? পুরসভা চলে সরকারি টাকায়। উন্নয়নের জন্য টাকা এসে জমে পুরসভার খাতায়। তাহলে ডোনেশন কিসের? বিরোধীদের অভিযোগ ওই ডোনেশন-এর টাকা যেতে অনুব্রতর ঘরে। তাঁর যারা সাকরেদ ছিলেন তারা ওই টাকা নিতেন। ওই ডোনেশন নেওয়ার জন্যে যে স্লিপ দেওয়া হয়েছে সেখানে পুরসভার স্ট্যাম্প রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডেভলপার জানিয়েছেন, পুরসভাকে একটা ফিস দিচ্ছি। তার পরও কাঠাপিছু একটা ডোনেশন নেওয়া হচ্ছে আমাদের কাছ থেকে। ওই বিপুল টাকা আমরা কোথা থেকে দেব?
গুরুতর ওই অভিযোগ নিয়ে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ ঘোষ বলেন, যে শাসক দল শাসন করছে তাদের লক্ষ্যই হল তোলাবাজি করা, লুট করা। অবৈধ কাজ যেসব হচ্ছে সেই কাজকে সমর্থন করা। কেন্দ্রের মোদীজি রয়েছেন। আগামী দিনে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, ওই অভিয়োগ নিয়ে বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যানকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমর সেখ বলেন, এমন অভিযোগের কথা জানি না। খোঁজ নিয়ে বলব। অন্যদিকে, এনিয়ে জেলা তৃণমূল মুখপাত্র মদন মুখোপাধ্যায় বলেন, এরকম অভিযোগ আমার জানা নেই। কোনও অভিযোগ এলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।