DLEd: 'দুই হলে করে দেব', টাকা না দেওয়ায় ডিএলএড প্র্যাকটিক্যালে ফেল ৪৩ জন!
ওই ৪৯ জন পরীক্ষার্থী ২ বার পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রথমবারের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কেন বাতিল তারা কেউ জানেন না। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার ফলে দেখা যায় ৪৩ জন ফেল করেছেন। পাস করেছেন মাত্র ৬ জন
অর্নবাংশু নিয়োগী: টাকা নিয়ে ডিএলএড-র প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় পাস করানোর অভিযোগ উঠল এক বেসরকারি ডিএলএড কলেজের লেকচারারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ শুনে বিস্মিত বিচারপতির মন্তব্য, 'গুরুতর অভিযোগ'। কলেজের সেক্রেটারিকে লেকচারারের মেসেজ, 'দুই হলে করে দেব। আজ শেষ দিন। মনে রাখবেন, প্রয়োজন আপনাদের। আমার নয়। যখন ৪৯ জন ফেল করবে তখন আপনাদের ধরবে।' এমনই মারাত্মক অভিযোগ করেছেন মালদহের মনমথনাথ কলেজ অব এডুকেশন(ডিএড) এর সেক্রেটারি। এনিয়ে মামলা করেন হাইকোর্টে। তাঁর দাবি, অক্টোবরের ফলাফলে দেখা গিয়েছে ৪৩ পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে চাওয়া হয়েছিল। কিছু টাকাও দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-কৃষ্ণনগরে 'দিদি'র সভায় কড়া দিদিমণি মহুয়া!
উল্লেখ্য, ওই ৪৯ জন পরীক্ষার্থী ২ বার পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রথমবারের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কেন বাতিল তারা কেউ জানেন না। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার ফলে দেখা যায় ৪৩ জন ফেল করেছেন। পাস করেছেন মাত্র ৬ জন। মামলায় দাবি করা হচ্ছে টাকা না দেওয়াতেই ওইসব পরীক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
টেটে বসার জন্য প্রাথমিকে শিক্ষক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এর ফলেই বহু পরীক্ষার্থী এখন সরকারি কলেজে সুয়োগ না পেয়ে বিপুল টাকা খরচ করে বেসরকারি কলেজ থেকেই ডিএলএড পাস করছেন। সেরকমই এক কলেজ থেকে ওই মারাত্মক অভিযোগ উঠল। অনলাইনে পরীক্ষার জন্য টাকা, অফলাইনে পরীক্ষার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা পাস করানোর জন্য টাকা চাওয়া হল। ওই টাকা চাইলেন এক কলেজ শিক্ষকই। আর সেই অভিযোগ করলেন কলেজের সেক্রেটারি। এনিয়ে ওই লেকচারার সেক্রেটারিকে একের পর এক মেসেজ করেছেন বলে দাবি। সেইসব মেসেজে দেখা যাচ্ছে একপ্রকার সেক্রেটারিকে হুমকি দিচ্ছেন ওই লেকচারার। লিখেছেন, মনে রাখবেন ৪৯ জন ফেল করলে আপনাদেরই ধরবে। ২ হলেই করে দেব। অর্থাত্ ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরে তিনি ২ হাজারে নেমে আসেন। মোবাইলের স্ক্রিনশর্ট তুলে ধরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন ওই কলেজ সেক্রেটারি। ওই মামলা সম্পর্কিত ওইসব মেসেজ দেখার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর।