Egra: সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তার আগেই প্রকাশ্যে বিজেপি-র গোষ্ঠীকোন্দল
প্রসঙ্গত বিজেপির এগরা বিধানসভা এলাকা বর্তমানে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত। সাংগঠনিক জেলা ভাগের পর থেকেই ক্রমাগত বিজেপির অভ্যন্তরে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে। রাধাগোবিন্দ আরও বলেন এগরা ২ ব্লকের শ্যামহরীবাড়ে জেলা পরিষদের ২৫ লক্ষ টাকার যে রাস্তার কাজ চলছে সেখানেও পাঁচ শতাংশ কাটমানি অর্থাৎ ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সামনের লোকসভা নির্বাচনের আগেই এগরা বিধানসভা এলাকায় গোষ্ঠীকোন্দল বিজেপির। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পন্ডিতের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতি ও গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ আনলো খোদ বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি রাধা গোবিন্দ দাস।
প্রসঙ্গত বিজেপির এগরা বিধানসভা এলাকা বর্তমানে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত। সাংগঠনিক জেলা ভাগের পর থেকেই ক্রমাগত বিজেপির অভ্যন্তরে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে। ৬ জানুয়ারি এগরা ২ ব্লকের সর্বদয় অঞ্চলে বিজেপির একটি কর্মী সভায় যোগাযোগ দেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তার ঠিক পরের দিন ওই এলাকায় বিজেপির অপর একটা গোষ্ঠীকে পাল্টা সভা করতে দেখা যায়।
আজ এই প্রসঙ্গে রাধাগোবিন্দ দাস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি ১৯৮৯ সাল থেকে বিজেপির বুথ সভাপতি, পরে অঞ্চল সভাপতি তারপর ব্লক সভাপতি এবং কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি হয়েছিলাম। আমি জেলা সহ সভাপতি থাকাকালীন সুদাম পন্ডিত জেলা সভাপতি ছিলেন। তার কাজকর্মে আমি আসন্তুষ্ট ছিলাম এবং বিভিন্ন সময়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছি। সুদাম পন্ডিত জেলা সভাপতির সঙ্গে সঙ্গে দলের ক্যাশিয়ারও ছিলেন। এই দুই পদে থাকাকালীন তিনি দলের বহু লক্ষ টাকার ধান্দা করেছেন কিন্তু চুরি করেননি’।
তিনি আরও বলেন, ‘এগরা ২ ব্লকের আমার মতো বহু পুরোনো নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে দলটা সুনামের সঙ্গে করেছি। এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ব্লকের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ পঞ্চায়েত সমিতি ও ১টি জেলা পরিষদের আসন দখল করি। ব্যক্তিগতভাবে আমার অভিযোগ হচ্ছে ওই সুদাম পন্ডিত ওরফে ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে। সুদাম পন্ডিতের কৃষ্টি সংকৃতি যেভাবে চলছে তিনি কিন্তু হিন্দু – মুসলিম’।
তার নাম, গোত্র, ধর্ম হিন্দু হলেও তার কালচার কথাবার্তা সাম্প্রদায়িক বলে তীব্র কটাক্ষ রাধা গোবিন্দ দাসের। বিজেপির জেলা পরিষদের আসনে যিনি জয়ী হয়েছেন তিনি সুদাম পন্ডিতের মেয়ে।
রাধাগোবিন্দ আরও বলেন এগরা ২ ব্লকের শ্যামহরীবাড়ে জেলা পরিষদের ২৫ লক্ষ টাকার যে রাস্তার কাজ চলছে সেখানেও পাঁচ শতাংশ কাটমানি অর্থাৎ ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Nisith Pramanik: হাইকোর্টের 'না', গ্রেফতারি ঠেকাতে শীর্ষ আদালতে নিশীথ
এগরা ২ ব্লক ও অঞ্চলগুলি থেকে টাকা তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুদামের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তি এলাকায় টাকা তুলে বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পন্ডিতের কাছে টাকার ভাগ পৌঁছে দিচ্ছে।
যে ৩টি অঞ্চল বিজেপি জিতেছে সেখান থেকেও টাকা লুট করছে এমনি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে রাধাগোবিন্দ। তিনি বলেন দলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নাই।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির দলীয় অভ্যন্তরে যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে তাতে শাসক দলেকে আরও বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। যদিও সুদাম পন্ডিত জানিয়েছেন তিনি দলের এখন কেউ নয় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সেটিং করেছে, তাই মিথ্যে অভিযোগ করছে, এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। প্রমাণ দিতে পারবেন না। শুধু বাজার গরম করার লক্ষ্য এই ধরনের কথা বলছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)