Dilip Ghosh: পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বাঁশ কেটে রাখুন; হুঙ্কার দিলীপের, পাল্টা চোখা জবাব মদনের
দিলীপ ঘোষের ওই মন্তব্যের পর পাল্টা সরব হয়েছেন সৌগত রায়। বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ বলেন, যারা দুর্বল তারাই এরকম আস্ফালন ও হুমকি দেয়। দিলীপ ঘোষের কথায় কেউ কাঁচা বাঁশ রেডি রাখবে না
মৃত্যুঞ্জয় দাস: বিষ্ণুপুরে বিজেপির চোর ধরো জেল ভরো কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। দলের কর্মীদের বিজেপি নেতার পরামর্শ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য গাঁটওয়ালা বাঁশ কেটে রাখুন। দিলীপ ঘোষের পাল্টা দিলেন মদন মিত্র, সুখেন্দু শেখর রায়, শান্তনু সেনরা। এদিন দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুন্ডা ও পুলিসকে দিয়ে ভোট লুঠ করা হয়েছে। বহু জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। আমরা সোজা মনে ভোট করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের মনোনয়ন করতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সাত দিন ধরে এসডিও ও বিডিও অফিস ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। এবার কিন্তু আর আমরা খালি হাতে যাব না। কাঁচা বাঁশ নিয়ে যাব। এখন থেকে বাঁশ কেটে রাখুন। বাড়িতে রাখুন যেন সেই বাঁশ শুকিয়ে না যায়। বাঁশ ছাঁটবেন না যেন গাঁট বেরিয়ে থাকে। মারলে যাতে গায়ে দাগ হয়।
আরও পড়ুন- বিজেপির মিছিলে হামলা; ঘনঘন বোমা, তুলকালাম শীতলকুচি
প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি প্রধান বলেন, যারা গরিব লোকের টাকা লুঠ করে দুতলা তিনতলা বাড়ি বানিয়েছে, কালো স্কর্পিও গাড়ি কিনেছে ভেবেছে সুখে এসি গাড়ি চড়ে বেড়াবে। সেই স্করপিও গাড়ি চড়ার সুযোগ পাবে না। বাড়ির সামনে পুলিসের গাড়ি এসে দাঁড়াবে। সেই গাড়ির এসিও নেই, জানালাও নেই। সেই গাড়িতে ঘামতে ঘামতে যেতে হবে। অনেককে দেখবেন পুজোর আগেই জেলে ঠাই হবে। নতুন জামা কাপড় পরা হবে না, বউয়ের যে গহনা করে দেওয়া হয়েছে তা আর পরা হবে না।
জাগো বাংলা-য় নবান্ন অভিযান ও বৈদিক ভিলেজের খরচ নিয়ে তোলা হয়েছে। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, টাকাটা কি কুণাল ঘোষ দিয়েছেন নাকি তৃণমূল দিয়েছে? কত খরচ হয়েছে তা তাঁরা জানলেন কী করে? কার বাপের কী যায় আসে। আমরা কাটমানি বা কয়লা গরুর টাকা নিয়ে তো আর করিনি। বিজেপি মানুষের দেওয়া টাকায় চলে। চুরি বা কাটমানির টাকায় চলে না।
দিলীপ ঘোষের ওই মন্তব্যের পর পাল্টা সরব হয়েছেন সৌগত রায়। বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ বলেন, যারা দুর্বল তারাই এরকম আস্ফালন ও হুমকি দেয়। দিলীপ ঘোষের কথায় কেউ কাঁচা বাঁশ রেডি রাখবে না। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হবে। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, দিলীপ ঘোষের মনের ব্যথা তিনি ছাড়া আর কেউ জানেন না। দলেই ব্রাত্য তিনি। মাঝেমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাকে ধমকায়। এসব কথা বলে রাজনীতিতে ভেসে থাকার চেষ্টা। এটাই বিজেপির কালচার। এই ধরনের কথা দিলীপবাবুরা যত বলবেন তত বাংলায় তৃণমূলের ভিত শক্ত হবে।
প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির মন্তব্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সুখেন্দু শেখর রায়। তৃণমূল সাংসদ বলেন, কোনওটাই ওয়ানওয়ে ট্রাফিক নয়। যারা এসব বলছেন তারা যেন একথা মাথায় রাখেন। এসব গুন্ডাদের ভাষা। সুখেন্দু শেখরের পাশাপাশি এনিয়ে সরব হয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ ঠিকই বলেছে। কাঁচা বাঁশের মাথায় যে কঞ্চি থাকে সেগুলো খুব ভালো কাজে লাগে। এটা আমি দিলীপ ঘোষকে বুঝিয়ে দেব। বাঁশ ব্যবহার করতে জানতে হবে এবং বাঁশ দিতে জানতে হবে। আপনাদেরও বাঁশ খাওয়ার সময় আসছে বলে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেন তিনি।