Gosaba: ৩০০ টাকার জন্য আটকে অগ্নিদগ্ধ রোগী, কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু বৃদ্ধার
এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল গোসাবাতে। স্থানীয় সূত্রে যানা যায় শনিবার সন্ধ্যায় গোসবার পাঠানখালী এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। তাই অলোকা মন্ডলের পরিবার কেরোসিনের ল্যাম্প জালিয়ে রাখে ঘরে। হঠাৎই ল্যাম্পের আগুনে বাড়িতে থাকা এক বৃদ্ধার গায়ে আগুন লাগে বলে জানা যায়। এরপর ৬৫ বছরের বৃদ্ধাকে রাতে গোসাবা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
প্রসেনজিৎ সরদার: রাতে অগ্নিদগ্ধ এক রোগীকে ৩০০ টাকার জন্য আটকে রাখলো অ্যাম্বুলেন্স চালক বলে অভিযোগ। এরপর আরও একটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য মেঝেতে রোগী রেখে হাতে স্যালাইনের বোতল নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো পরিবার। এমনই মর্মান্তিক দৃশ্য ধরা পড়লো গোসবায়।
গোসাবার অমানবিকের ঘটনার পর ঠিকঠাক পরিষেবা না পাওয়ায় কলকাতা নীলরতন সরকার হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায় ওই বৃদ্ধা পাখি মন্ডল। পরিবারের নেমেছে শোকের ছায়া।
গোসাবার অমানবিক ঘটনার পর গদখালি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে যখন ক্যানিংয়ে আসে সেখানেও ক্যানিং মহকুমার হাসপাতালে চিকিৎসকরা রেফার করে দেয় নীলনতনের উদ্দেশ্যে। এখানেও কোনও রকম চিকিৎসা করেনি চিকিৎসকরা বলে অভিযোগ জানায় পরিবার। এরপরে ভোর ৪টে নাগাদ কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বৃদ্ধা পাখি মন্ডলকে। কিন্তু সকালে পাখি মন্ডলের মৃত্যু হয় বলে জানায় চিকিৎসকরা। তারা জানায় সব জায়গায় পরিষেবা, ঠিকঠাক না পাওয়ার জন্যই তাদের পরিবারের এই বৃদ্ধকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।
এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল গোসাবাতে। স্থানীয় সূত্রে যানা যায় শনিবার সন্ধ্যায় গোসবার পাঠানখালী এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। তাই অলোকা মন্ডলের পরিবার কেরোসিনের ল্যাম্প জালিয়ে রাখে ঘরে। হঠাৎই ল্যাম্পের আগুনে বাড়িতে থাকা এক বৃদ্ধার গায়ে আগুন লাগে বলে জানা যায়। এরপর ৬৫ বছরের বৃদ্ধাকে রাতে গোসাবা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে শিলা বৃষ্টির সতর্কতা
কিন্তু রাত বেশী হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় গরীব অসহায় ওই রোগীর পরিবারকে। তারা জানান, হসপিটালে চিকিৎসকদের কাছে তারা বলেন যে রাতটুকু হাসপাতালে রাখতে রুগিকে। কেননা এই রাতে নদী পারাপার ও অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাবে না। কিন্তু গোসবা হসপিটাল সেই রোগীকে রাখতে চায়নি বলে অভিযোগ।
এরপর কোনও রকমে একটি অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে গোসাবা হাসপাতাল থেকে খেয়া ঘাটে নিয়ে আসে রুগীকে পরিবার। কিন্তু সেখানে ওই অ্যাম্বুলেন্স ৩০০ টাকার জন্য আধঘন্টা আটকে রাখে অগ্নিদগ্ধ রোগীকে এমনই অভিযোগ পরিবারের। পরিবার আরও বলে ওই টাকা তারা কিছুক্ষণ পর ফোনে পাঠিয়ে দেবে কারণ তাদের কাছে টাকা নেই।
কিন্তু সেই অ্যাম্বুলেন্স চালক তাতে কান দেয়নি বলেই অভিযোগ। অনেকটা সময়ের পরে টাকা জোগাড় করে তারপরে অ্যাম্বুলেন্স চালককে দিলে তবে রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে ছাড়ে বলে অভিযোগ পরিবারের।
আরও পড়ুন: Malda Murder: শ্বশুর বাড়িতে কুড়ুল নিয়ে তাণ্ডব জামাইয়ের, প্রাণ গেল ৩ জনের
এরপর গোসোবা খেয়া থেকে খেয়া মাঝিরা গদখালি ঘাটে নদী পারাপার করে দেয় তাদের এই সমস্যা দেখে বিনা টাকায়। এরপর নদী পার হয়ে গদখালি সেখানেও এসে তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সমস্যায় পড়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাওয়ায় জন্য।
মেঝেতে পড়ে থাকে রোগী। পরিবার হাতে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে সেলাইনের বোতল। মর্মান্তিক এরকমই ছবি রাতে ধরা পড়ে ক্যামেরায়। জানা যায় এরপরেই ওখানকার এক যুবকের চেষ্টায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তারা রোগীকে কলকাতার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।
তবে এরকম ছবি প্রায় সময়ই গভীর রাতে হতে থাকে। কারন গোসোবায় সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা, ফেরি চলাচল বা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে প্রায় সময়ই রোগী ও রোগীর পরিবারকে সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ।